আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম ( Argentum Nitricum ) [ আর্জে নাই - Arg-n]
আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম ( Argentum Nitricum ) [ সিলভার নাইট্রেট ]
অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘকালস্থায়ী মানসিক পরিশ্রমজাত তরূণ বা পুরাতন রোগ। বিশুস্ক, শীর্ণ দেখিতে বৃদ্ধের ন্যায়, এরূপ রোগী পাইলেই আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের কথা চিন্তা করিবেন (পাতলা, শীর্ণ রোগী-সিকেলি)। শীর্ণতা, উহা প্রতি বৎসরই বাড়িতে থাকে এবং নিম্নঙ্গেই বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়, পুঁয়ে পাওয়া রোগ। ভজনালয় বা নাটাশালায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হইলেই আশংকার ভাব, ঐ সময় উদরাময়ের মলবেগ উপস্থিত হয় (জেলস)।
সব সময় ধীরে ধীরে চলে (ক্যানা ইন্ডি)। খেয়ালি, সবকিছুই তাড়াতাড়ি করিতে চায়, দ্রুত চলে, সবসময়ই ব্যস্ত, উৎকন্ঠিত, খিটখিটে ও স্নায়বিক (অরাম, লিলিয়াম)। শিরঃপীড়া, রক্তসঞ্চয়জনিত, তৎসহ পূর্ণতা ও ভারবোধ, মনে হয় যেন মাথাটি বড় হইয়া উঠিতেছে; সাহিত্য সেবীদের স্বভাবগত পাকাশয়ের উত্তেজনাজনিত শিরঃপিড়া, নিত্য করার ফলে শিরঃপীড়া। একপার্শিক শিরঃপীড়া। সম্মুখ কপাল বা শঙ্খস্থানে চাপনবৎ, স্ক্রু ঢোকানের ন্যয় যন্ত্রণা, পৈত্তিক বমনে উহার পরিসমাপ্তি। ক্লান্তিকর মানসিক পরিশ্রমে বৃদ্ধি; চাপনে অথবা শক্ত করিয়া বাঁধিয়া রাখিলে উপশম (এপিস, পালস)।
তরুণ, মাংসাঙ্কুরযুক্ত চক্ষুর শ্বেতপটল প্রদাহ; চক্ষু, অত্যন্ত আরক্ত, কাঁচা গোমাংসের বর্ণ, প্রচুর পূঁজবৎ স্রাব। নব প্রসুত শিশুদিগের চক্ষুপ্রদাহ, প্রচুর পুঁজবৎ স্রাব, কনীনিকা অস্বচ্ছ ও ক্ষতযুক্ত, চক্ষুর পাতা বেদনাযুক্ত পুরু, স্ফীত, প্রাতঃকালে জুড়িয়া যায়। সূচীকার্যের ফলে চক্ষুপীড়া, গম ঘরে বৃদ্ধি; খোলা বাতাসে উপশম। কনীনিকার অবস্থান-কৌশলের অপকার্যহেতু চক্ষুরোগ। চিনি খাইতে চায়; শিশু চিনিপ্রিয়, কিন্তু চিনি খাইলে উদরাময় জম্মে। পাকাশয়িক পীড়ার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উদ্গার উঠে।
উদরে বায়ুসঞ্চয়যুক্ত অগ্নিমন্দা, প্রতিবার আহারের পর উদ্গার উঠে, মনে হয় যেন বায়ুর চাপে পাকস্থলিটি ফাটিয়া যাইবে; উদ্গার তুলিতে কষ্ট হয়, শেষে অত্যান্ত প্রবল শব্দে বায়ু নির্গত হইয়া পড়ে। উদরাময, সবুজ আমযুক্ত মল, খন্ড খন্ড কুচান শাকের ন্যায়, কিছুক্ষণ মল পত্রে থাকিবার পর উহা সবুজ হইয়া উঠে। জলপানের পর মিছরি অথবা চিনি খাওয়ার পর উদরাময়।
মলে খন্ড খন্ড দড়ার মত, অথবা দলা দলা আম, উহার সহিত যথেষ্ট সশব্দ বায়ু নিঃসরণ। জলপানের সঙ্গে সঙ্গেই উদরাময়ের মলবেগ। দিবারাত্র অসাড়ে মুত্রপাত হয়। ধ্বজভঙ্গ, সঙ্গমের চেষ্টা করিলে লিঙ্গোদ্রেক হয় না। স্ত্রী-পুরুষ উভয়ই সঙ্গমকালে বেদনা বোধ হয়, সঙ্গমের পর যোনিপথে রক্তস্রাব হয়। অতি রক্তস্রাব; অল্পবয়স্কা বিধবাদের বন্ধ্যা নারীর। রজঃনিবৃত্তিকালে স্নায়বিক উত্তেজনার সহিত রমনীগণের অতিরিক্ত ব্রাব।
উম্মুক্ত বায়ু সেবনের অত্যাধিক ইচ্ছা। গায়কদিগের পুরাতন স্বরযন্ত্রপ্রদাহ, উচ্চস্বরে গান করিলে কাশির উদ্রেক হয়। নিম্নশাখার অত্যন্ত দূর্বলতা, তৎসহ কম্পন, চক্ষু মুদ্রিত করিয়া হাঁটিতে পারে না। দৃঢ় পদক্ষেপে হাঁটিতেবা দাঁড়াইতে পারে না, বিশেষতঃ যখন সে মনে করে যে তাহাকে কেহ দেখিতেছে না।
আক্ষেপের পূর্বে অত্যন্ত অস্থিরতা প্রকাশ পায়। গিলিবার সময় মনে হয় যেন গলার মধ্যে একটি গেজি বিধিয়া আছে।হাঁটিবার বা ঘোড়া চড়িবার সময় জরায়ুর মধ্যে অথবা উহার আশে পাশে ঐরূপ অনুভূতি। অনাবৃত থাকিলে শীত শীত বোধ করে, কিন্তু আবৃত হইলেও দম বন্ধের মত হয়; উম্মুক্ত বায়ু আকাঙ্খা করে।
[শক্তি-৩০, ২০০]
[আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম ( Argentum Nitricum ) [ সিলভার নাইট্রেট ] best homeopathic remedy for Gastritis, Stomach and duodenal ulcers, dyspepsia, chronic laryngitis, chronic catarrh of the mucous membranes, nephritis, metritis, cervicitis, neurasthenia, psychasthenia. Work on the following body part Central nervous system, autonomic (vegetative) nervous system, stomach and intestine gastrointestinal tract, all mucous membranes. Applies to emaciated persons with an appearance of ageing. Nervous gastroenteritis (fear of examinations, excitement etc.) retarded gastric pains, also pain in fasting, vomiting of mucous matter of gaseous eructation, nephritis and hematuria and albuminuria, restlessness, dizziness, weakness of memory, general tremor,]
বুঝলামনা! এই লক্ষণগুলো দেখা গেলে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম খেতে হবে? নাকি আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম খেলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেবে? এই লেখা কি ডাক্তারদের জন্য না রোগিদের জন্য সেটাও বুঝলাম না।
উত্তরমুছুনপুরো সাইটের কন্টেন্টগুলি যার হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে অবগত তাদের জন্য; যিনি হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে জানেন না বা বুঝেন না তাদের কাজে আসবে না। এখানে মেটেরিয়া মেডিকায় উল্লেখিত লক্ষণগুলি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে কোন ধরণের মেডিক্যাল এডভাইস দেওয়া নাই যা সর্ব সাধারণ ব্যবহার করতে পারবে। সর্বসাধারণ চিকিৎসা বা ঔষধ খাওয়ার জন্য ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যবহার না করাই উত্তম। কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন যিনি আপনার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন। এখানে উপস্থাপিত তথ্য যাদের প্রয়োজন তারা ঠিকই বুঝতে পারবেন। এটি সর্বসাধারণের জন্য নয়।
মুছুন