কেলি মিউরিয়েটিকাম ( Kali Muriaticum) [ Kali Mur. ]
কেলি মিউরিয়েটিকাম ( Kali Muriaticum) [ Kali Mur. ]
সাধারণ নামঃ ক্লোরাইড অফ পটাস
সংক্ষিপ্ত নামঃ কেলি মিউর
প্রস্তুত পদ্ধতিঃ পটাশিয়াম ক্লোরাইড হইতে দুগ্ধশর্করা সহযোগে চুর্ণ প্রস্তুত হয়।
ক্রিয়া- অন্ডলালিক পদার্থের সহিত মিশ্রিত হইয়া শরীরস্থ ফাইব্রিন নামক পদার্থ সৃষ্টি করিয়া থাকে। রক্তে এই ফাইব্রিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রাপ্ত হওয়া যায়। রক্তে এই লবণিক পদার্থের অভাব হইলে ফাইব্রিন বা সৌত্রিক পদার্থ রক্তস্রোত হইতে বাহির হইতে চেষ্টা করে-কখনও স্থানবিশেষে অবরুদ্ধ হয়। সর্বপ্রকার প্রদাহিক পীড়ায় ক্ষতের স্রাবেই ইহার অস্তিত্ব পরিদৃষ্ট হয়। রক্তের ভিতর যেরূপ এই পদার্থ নিহিত আছে- স্নায়ু, কোষ, পেশী ইত্যাদির মধ্যস্থ তরল পদার্থসমূহেও ইহা বিদ্যমান আছে। শরীল হেইতে যখন রস বা রক্ত নির্গত হয়, তখন উহা তরল অবস্থায় থাকে এবং ফাইব্রিন বা সৌত্রিক পদার্থ তাহাতে দ্রবীভূতাবস্থায় থাকে। কিন্তু জমাট বাঁধিয়া গেলে উহা হইতে ছানা ও অন্ডলালাবৎ পদার্থ বিশ্লেষণ করিয়া হইলে সৌত্রিক পদার্থ স্পষ্ট দৃষ্ট হয়। ক্লোরাইড অফ পটাস অক্সিজেনের সাহায্যে শরীরস্থ অন্ডলালা নামক পদার্থ হইতে ফাইব্রিন প্রস্তুত করিয়া থাকে। ফেরামের দ্বারা যেমন রক্তে অক্সিজেনের চলঅচল ক্রিয়া সাধিত হয় এবং ইহার অভাব হইলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়, তদ্রুপ উক্ত ফাইব্রিন নির্গত হইয়া গেলেও অক্সিজেনের অভাব হইয়া থাকে। ফেরাম ফস ও কেলি মিউরের ভিতর এই প্রকার সাদৃশ্য বর্তমান থাকার জন্য সর্বপ্রকার পীড়ার প্রদাহিক অবস্থায় অনেক সময় উভয় ঔষধ পর্যায়ক্রমে দিবার প্রয়োজন হয়। ফেরাম ফস যেরূপ প্রদাহিক পীড়ার প্রথমাবস্থায় উপযোগী কেলি মিউরও প্রদাহিক পীড়ার দ্বিতীয় অবস্থায় উপযোগী।
পাংশু বা শ্বেতবর্ণ ময়লাযুক্ত জিহ্বা কেলি মি্উরের অভাবজ্ঞাপক উৎকৃষ্ট লক্ষণ। যে কোন স্থান হইতেই স্রাব নিঃসৃত হউক না কেন, যদি ঐ স্রাব গাঢ় শ্বেতবর্ণ, আঠাযুক্ত ও সৌক্রিক পদার্থযুক্ত হয়, তাহা হইল বিশেষ ফলপ্রদ। চর্ম হইতে ময়দার গুড়ার ন্যায় পদার্থ উঠিলে এই ঔষধের বিষয় স্মরন করা কর্তব্য। ডিফথিরিয়া, আমাশয়, সর্দি কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি যে কোন পীড়ায় উক্ত প্রকার জিহ্বা ও স্রাব নিঃসরণ হইলে উপকারী। সর্বপ্রকার গ্রন্থির কোমল স্ফীতি ও প্রদাহিত স্থানের রসসঞ্চয়বশতঃ স্ফীতি জন্মিলে।
কোন স্থানে উত্তাপ লাগিলে ফোসকা পড়ে, কেন না উত্তপবশতঃ সৌত্রিক পদার্থ বিনষ্ট হয়। কেলি মিউর প্রয়োগ করিলে নতুন সৌত্রিক পদার্থ সৃষ্টি করিয়া ফোসকা পড়া আরোগ্য হয়।
যকৃতের উপর এই ঔষধের তীব্র ক্রিয়া দৃষ্ট হয়।
পরিচায়ক লক্ষণঃ
- সর্বপ্রকার প্রদাহিক পীড়ার দ্বিতীয়াবস্থায় যখন প্রদাহিত স্থান স্ফীত এবং নিঃসৃত স্রাবের বর্ণ গাঢ় শ্বেত বা আঠাল ও সৌত্রিক পদার্থযুক্ত হয়, তখন ইহা অত্যুৎকৃষ্ট।
- যে সমস্ত পীড়ায় জিহ্বা শ্বেত বা পাংশুবর্ণ ময়দা দ্বারা আবৃত থাকিবে।
- মস্তিস্কাবরক-ঝিল্লিপ্রদাহ (Meningitis) ও মস্তিষ্কে জলসঞ্চয় ( Hydrocephalus) রোগে প্রদাহের দ্বিতীয়াবস্থায় রসসঞ্চয় হইবার পূর্বে প্রদত্ত হইলে যেরূপ জল জমে না, আবার জল জমিয়া গেলেও তদ্রুপ এই ঔষধ প্রয়োগ দ্বারা শোষিত হইয়া যায়।
- সর্বপ্রকার চক্ষুপীড়ায় নিঃসৃত স্রাবের বর্ণ গাঢ় শ্বেত বা আঠাল ও সৌত্রিক পদার্থযুক্ স্রাব থাকিলে। কর্ণিয়ায় ফোসকা পড়ে।
- কোমল ছানি ও আঘাত লাগাবশতঃ ছানিতে ইহা উৎকৃষ্ট।
- কর্ণের বেদনাসহ কর্ণমূল স্ফীত এবং তৎসহ নিঃসৃত স্রাবের বর্ণ গাঢ় শ্বেত বা আঠাল ও সৌত্রিক পদার্থযুক্ত হয়, পীড়ায় জিহ্বা শ্বেত বা পাংশুবর্ণ ময়দা দ্বারা আবৃত লক্ষণ থাকিলে।
- মধ্যকর্ণ বা ইউষ্টেসিয়ান টিউবের সর্দি ও স্ফীতিবশতঃ বধিরতায় এই ঔষধ নির্দিষ্ট। সাথে জিহ্বা ও স্রাবের বৈশিষ্ট বর্তমান থাকে।
- ইহা ডিপথিরিয়া রোগের প্রধান ঔষধ। টনসিল প্রদাহেও উত্তম। জিহ্বা শ্বেত বা পাংশুবর্ণ ময়দা দ্বারা আবৃত থাকিলে ফেরাম ফসের সহিত পর্যায়ক্রমে।
- অজীর্ণ পীড়ায় জিহ্বার লক্ষণের সহিত সাদৃশ্য থাকিলে। তৈলাক্ত দ্রব্য ও গুরুপাক খাদ্য সহ্য হয় না।
- সর্বপ্রকার যকৃৎপীড়ায় জিহ্বার বর্ণের সহিত সদৃশ্য থাকিলে। কোষ্ঠবদ্ধ এবং সাদা বা ফ্যাকাশে মল দৃষ্ট হইলে। প্রস্রাবের সহিত শ্বেতবর্ণের তলানি পড়ে। যকৃৎ প্রদাহের দ্বিতীয়াবস্থায়। দক্ষিণ স্কন্ধে বেদনা।
- তৈলাক্ত বা গুরুপাক দ্রব্য ভক্ষণজনিত উদরাময়। পিত্তস্রাবের অল্পতাবশতঃ সাদা, ফ্যাকাশে, কর্দমবৎ ও হরিদ্রাভ তরল মলত্যাগ।
- রক্তামাশয় রোগের প্রধান ঔষধ। উদরে কর্তনবৎ তীব্র বেদনা। অত্যন্ত কুন্থনসহ পুনঃপুন মলত্যাগ। কেবল রক্ত অথবা শ্বেতবর্ণের শ্লেষ্মা ভেদ।
- যে কোন পীড়াই হোউক না কেন, যদি বমনে চাপ চাপ কাল রক্ত অথবা গাঢ় শ্বেতবর্ণের শ্লেষ্মা নির্গত হয়। জিহ্বা শ্বেত, অথবা পাংশুটে।
- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্বেতবর্ণের সূত্রবৎ কৃমি ও তজ্জনিত গুহ্যদ্বার চুলকানি (নেট্রাম ফস সহ পর্যায়ক্রমে)।
- ইহাই প্রমেহপীড়ার প্রধান ঔষধ (নেট্রাম ফস)। নিসৃত স্রাবের বর্ণ গাঢ় শ্বেত বা আঠালো লক্ষণ থাকলে যাবতীয় মুত্রপীড়ায় ব্যবহার্য। প্রমেহপীড়ায় হঠাৎ স্রাব রুদ্ধ হইয়া অন্ডকোষ প্রদাহিত হইলে।
- সফট স্যাঙ্কার পীড়ার প্রধান ঔষধ। স্রাবের লক্ষণ বর্তমান থাকিলে। বাগী কোমল ও স্ফত হইলে।
- সর্বস্থানের গ্রন্থিপীড়ায় যে পর্যন্ত গ্রন্থিসমূহ প্রস্তরবৎ কঠিন না হয়।
- হঠাৎ ঠান্ডা লাগা বা জলে ভিজিবার জন্য ঋতুবন্ধ। ঠান্ডা লগিয়া কষ্টরজঃ পীড়া। ঋতুর রক্ত কালচে লাল অথবা কাল চাপ চাপ রক্ত। অধিক বিলম্বে অথবা শীঘ্র শীঘ্র ঋতুস্রাব।
- শ্বেতপ্রদরে নিসৃত স্রাবের বর্ণ গাঢ় শ্বেত বা আঠালো লক্ষণ থাকলে।
- সুতিকা জ্বর ও দুগ্ধজ্বরের প্রধান ঔষধ। প্রথম হইতেই 2/1 মাত্রা করিয়া ব্যবহার করিলে কোনও কুফল হয় না।
- ষ্ফোটক, ব্রণ, কার্বাঙ্কল, ইরিসিপেলাস, আঙ্গুলহাড়া ইত্যাদি পীড়ায় প্রদাহের দ্বিতীয়াবস্থায় যখন প্রদাহিত স্থানে রস জমিয়া স্ফীত হয়।
- ইহাই ঘুংডি ও হুপি কাশির প্রধান ঔষধ।(আক্ষেপিক হইলে ম্যাগ ফসই প্রধান ঔষধ)। এই ঔষধ প্রয়োগ করিলে গলমধ্যে সূত্রবৎ শ্লেষ্মা সঞ্চিত হইতে পারে না।
- পাকস্থলী অথবা যকৃত বিকৃতিবশতঃ হাঁপানি। জিহ্বা শ্বেতবর্ণ এবং শ্বেতবর্ণের আঠাল চটচটে শ্লেষ্মা অতি কষ্টে কাশিয়া ফেলিতে হয়।
- বায়ুনলী ও শ্বাসনলী সংক্রান্ত যাবতীয় কাশির দ্বিতীয়াবস্থায় জিহ্বা ও শ্লেষ্মার লক্ষণ থাকলি অতিশয় কষ্টকর ও খুকখুকে কাশি ( ফেরাম ফস সহ পর্যায়ক্রমে)।
- হৃৎপিন্ডের আবরক-ঝিল্লিপ্রদাহের দ্বিতীয়াবস্থায় অতি উৎকৃষ্ট।
- বাতজ্বর সহ আক্রান্ত স্থানে রসাদি সঞ্চিত হইয়া স্ফীত ও বেদনাযুক্ত হইলে। তরুণ পীড়ায় অধিক বেদনা হইলে। ফেরাম ফস সহ পর্যায়ক্রমে। বাতাক্রান্ত স্থান সঞ্চালনে, রাত্রিকালে এবং শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। ঘাড় হইতে পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত বিদ্যুদ্বৎ বেদনা।
- একজিমা বা বিখাউজে নিঃসৃত স্রাবের বর্ণ গাঢ় শ্বেত বা আঠাল ও সৌত্রিক পদার্থযুক্ত থাকিলে উৎকৃষ্ট। ক্ষতস্থান হইতে ময়দার গুঁড়ার ন্যায় শুষ্ক শ্বেতবর্ণের চুর্ণ বাহির হয়। ফোসকার ন্যায় একজিমা।
- বয়ঃব্রণ (Acne)সাদা ভাতের ন্যায় পদার্থ বাহির হইলে।
- খারাপ বীজে টিকা দেওয়ার কুফলবশতঃ যে কোন প্রকার চর্মপীড়া। ফোসকাযুক্ত বিসর্প।
- প্লেগের প্রধান ঔষধ, বিশেষতঃ স্ফতি বর্তমানে।
- সর্বপ্রকার বসন্ত পীড়ায় প্রধান ঔষধ। প্রথমাবস্থায় এই ঔষধ ব্যবহৃত হইলে কোন প্রকার কুফল না হইয়াই পীড়া আরোগ্য হয়।
- হামের দ্বিতীয়াবস্থায় প্রধান ঔষধ। হামের পরবর্তী কুফলজনিত সাদা বা ফ্যাকাশে রংয়ের উদরাময়, বধিরতা, কশি অথবা কোন গ্রন্থি স্ফীত হইলে।
- যকৃত, মুত্রযন্ত্র ও হৃৎপিন্ডের বিকৃতিবশতঃ শোথ। শোথাক্রান্ত স্থান উজ্জল শ্বেতবর্ণ; শোথের জল, জিহ্বার ও প্রস্রাবের বর্ণ শ্বেত।
- কোন স্থানে আঘাত লাগা, মচকাইয়া যাওয়া অথবা কটিয়া যাইবার দ্বিতীয়াবস্থায় যখন আক্রা্ন্ত স্থানে রস ও রক্তাদি জন্মিয়া স্ফীত হয়।
- কোন স্থান দগ্ধ হইবার দ্বিতীয়াবস্থায় যখন ফোসকা পড়ে, তখন উৎকৃষ্ট।
- ইহা মৃগীরোগের প্রায় আমোঘ ঔষধ। চর্মরোগাদি বসিয়া যাইবার ফলে পীড়ার উদ্ভব। পুনরাক্রমণের গতিরোধ করিবার জন্য আক্রমণান্তে সেব্য।
- টাইফয়েড জ্বরের প্রধান ঔষধ ( প্রথমাবস্থায় ফেরাম ফস সহ পর্যায়ক্রমে) জিহ্বা শ্বেত বা কটাবর্ণের লেপাবৃত। পাতলা, হরিদ্রাভ ফ্যাকাশে বা সাদাটে মলস্রাব।
- সর্বপ্রকার জ্বরের দ্বিতীয়াবস্থায় জিহ্বার লক্ষণ থাকিলে। প্রায়ই পুরাতন রোগীদের যকৃতাদি বিকৃতি থাকিলে ব্যবহৃত হয়। তরুণ জ্বরে বড় একটা প্রয়োজন হয় না। ইহাই আরক্ত জ্বরের প্রধান ঔষধ।
- তৈলাক্ত ও গুরুপাক দ্রব্য ভক্ষণে যাবতীয় পেটের পীড়ার উৎপত্তি বা বৃদ্ধি। সর্বপ্রকার বেদনারই সঞ্চালনে বৃদ্ধি। বাতব্যাধি শয্যার উত্তাপেও বৃদ্ধি হয়।
বিশেষত্ব (Peculiarity)ঃ
সর্বপ্রকার প্রদাহিক পীড়ার দ্বিতীয়াবস্থায় যখন প্রদাহিত স্থান স্ফীত হয় এবং যে সকল শ্লেষ্মিক ঝিল্লি হইতে শ্বেতবর্ণ, সৌত্রিক আঠালো প্রকৃতির স্রাব নিঃসৃত হয়, তাহাতে ইহা অব্যর্থ। জিহ্বা শ্বেত বা পাংশুবর্ণ লেপ দ্বারা আবৃত হওয়া ইহাতে সুনির্দিষ্ট এবং যে পীড়ায় এই প্রকার জিহ্বা লক্ষণ থাকিবে, তাহাতে এই ঔষধ প্রয়োগ করিলে কখনও নিষ্ফল হইবে না। চর্মে ফোসকা পড়া ইহার আর একটি বিশেষত্ব। সর্বপ্রকার পীড়াতেই সঞ্চালনে বৃদ্ধি ইহার সিদ্ধিপ্রদ লক্ষণ।
বহুলব্যবহৃত শক্তিঃ 12X
[কেলি মিউরিয়েটিকাম ( Kali Muriaticum) [ Kali Mur. ] Best remedy for deafness, coryza, aphthous, membranous, parasitic ulcerative, tonsillitis, hoarseness, dyspepsia, jaundice, liver disease, diarrhea, hiccough, dysentery, constipation, vomiting, piles worm, gonorrhea, disease of scrotum, syphilis, bubo, glands disease, amenorrhoea, dysmenorrhoea, leucorrhoea, abscess, metritis endometritis, croup, asthma, whooping cough, all kind of cough, heart disease, eczema, rheumatism, sycosis, erysipelas, plague, pox, meales, dropsy, ulcers, burns, epilepsy, tetanus, fever, জ্বর, আরক্ত জ্বর, ধনুষ্টঙ্কার, মৃগী, আঘাত লাগা, ক্ষত, শোথ, হাম, বসন্ত, প্লেগ, বয়ব্রণ, একজিমা, বাত, হৃৎপিন্ডের পীড়া, সর্বপ্রকার কাশি, স্ফোটক, সুতিকা জ্বর, দুগ্ধ জ্বর, জরায়ুর প্রদাহ, শ্বেত প্রদর, কষ্টরজ, স্বল্পরজ, গ্রন্থি পীড়া, বাগী, প্রমেহ, অন্ডকোষের পীড়া, কৃমি, অর্শ, বমন, আমাশয়, হিক্কা, উদরাময় জন্ডিস, লিভার পীড়ায় অধিক ব্যবহৃত হয়] [শারিরিক ও মানসিক লক্ষণ থাকা জরুরী]
কোন মন্তব্য নেই