স্যানিকিউলা (Sanicula) [Sanic-স্যানিকি]
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ স্যানিকিউলা (Sanicula)
[ঐ নামের একটি ঝরনার জল ]
নিম্নগতিতে ভয় (বোরাক্স)
শিশু একগুয়ে, অবাধ্য, কাঁদে, লাথি ছোড়ে; উগ্র, কোপন, ঐভাব হাসির সহিত পর্যায়ক্রমে দ্রুত
উপস্থিত হয়; কেহ তাহাকে স্পর্শ করিলে পছন্দ করে না।
অবিরত একাজ ছাড়িয়া ওকাজ করে।
নিদ্রাকালে শিশুর গ্রীবাদেশ ও মস্তকে প্রচুর ঘর্ম হয়, উহাতে সারা বালিশটি ভিজিয়া যায় ( ক্যাল্ক কার্ব, সাইলি)।
মস্তকত্বকে, চক্ষুর ভ্রুতে, দাড়িতে প্রচুর আইসের খুস্কি।
কানের পশ্চাতে ক্ষততা; তৎসহ সাদা, দূসরবর্ণ, চট্চটে পুঁজ নির্গত হয় ( গ্রাফাই, সোরিন)।
জিহ্বা; বহৎ থলথলে, জ্বালাকর, ঠান্ডা করিবার জন্য উহা বাহির করিতে হয়, জিহ্বার উপর দাদ্রু ( নেট্রাম মিউ)।
মোটরকার বা গাড়ী চড়িলে বমি বমিভাব ও বমন।
তৃষ্ণা, ঘনঘন জল পান করে, উহা পাকস্থলী স্পর্শ করিলেই বমি হইয়া যায় ( আর্স, ফস)।
রোগ লক্ষণগুলি অবিরত পরিবর্তিত হয় ( ল্যাক ক্যানি, পালস)।
মলমূত্র অসাড়ে নির্গত হয়, মলদ্বার আবরক পেশীর উপর বিশ্বাস করা যায় না (এলা); অধঃবায়ু নিঃসরণের বেগ আসিলে, মলত্যাগের ভয়ে পদদ্বয় আড়াআড়িভাবে চাপিয়া ধরে।
কোষ্ঠবদ্ধতা, প্রচুর মল সঞ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মলবেগ উপস্থিত হয় না, অনেক কুন্থনের পর মল আংশিক বাহির হইয়া পুনরায় ভিতরে ঢুকিয়া যায় ( সাইলি, থুজা), ছোট ছোট শুষ্ক বলের ন্যায় অনেকখানি মল নির্গত হয়, উহা যন্ত্র সাহায্যে বাহির করিতে হয় ( সেলিনি)।
মল-কঠিন, নির্গত হয় না, পোড়া চুনের ন্যায় ধুসরবর্ণের সাদা গুটি গুটি মল; মলদ্বার হইতে ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া পড়ে ( ম্যাগ মিউর), উহার গন্ধ সংরক্ষিত পানিরের ন্যায়।
উদরাময়- মলের বর্ণ ও প্রকৃতি, পরিবর্তনশীল, উহা ডিমভাঙ্গার ন্যায়, ফেনাযুক্ত, ঘাসের ন্যায় সবুজ, কিছুক্ষণ থাকিলে সবুজ হইয়া যায়, পচা পুকুরের শেওলার ন্যায়; আহারের পর টেবিল ছাড়িয়া তাহাকে ছুটিয়া পায়খানায় যাইতে হয়।
স্নান করিলেও দেহে মলের গন্ধ থাকিয়া যায় ( সালস)।
মলদ্বারের চারিদিকের চর্ম হাজিয়া যায় (সালফ), উহা মলদ্বার ও জননেন্দ্রিয়ের মধ্যবর্তী স্থান হইয়া জননাঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
প্রদরস্রাব, উহাতে মাছের কলতানির ন্যায় গন্ধ ( সরলান্ত্র হইতে হেরিং মাছের কলতানির ন্যায় গন্ধবিশিষ্ট রসক্ষরণ-ক্যাল্ক কার্ব; কান হইতে মাছের কলতানির ন্যায় গন্ধযুক্ত স্রাব-টেলুরি)।
দূর্বলতা, বস্তিগহ্বরের যন্ত্রাদি যেন বাহির হইয়া পড়িবে এরূপ নীচেরদিকে ঠেলামারা বেদনা; হাঁটিলে, পদস্খলনে বা ঝাঁকি লাগিলে বৃদ্ধি; বিশ্রামে শুইয়া থাকিলে উপশম। যোনি-ওষ্ঠের উপর হাত রাখিয়া উপরদিকে চাপ রাখিতে ইচ্ছা করে ( লিলিয়াম, মিউরেক্স), জরায়ুস্থানে ক্ষততাবোধ।
পদঘর্ম, পদাঙ্গুলির ফাঁকে ফাঁকে, উহাতে ঐস্থানে ক্ষত জন্মে (গ্রাফাই, সোরিন, সাইলি); পদতলে এরূপ ঘর্ম যেন মনে হয় ঠান্ডা জলে পা ডুবান হইয়াছিল।
পায়ের তলায় জ্বালা, উহা অনাবৃত রাখিতে বা ঠান্ডা স্থানে রাখিতে বাধ্য হয় ( ল্যাকে, মেডোর, স্যাঙ্গুই, সালফ)।
শিশু অত্যন্ত শীতের সময়েও গাত্রবস্ত্র ফেলিয়া দেয় ( হিসার সালফ)।
শীর্ণতা, বর্ধণশীল; শিশুকে বৃদ্ধের ন্যায় দেখায়, মলিন, তৈলসিক্তবৎ, কপিশবর্ণ; ঘাড়ের চর্ম কোঁচকাইয়া, ভাঁজ ভাঁজ হইয়া পড়ে ( এব্রোটে, আয়ড, নেট্রাম মিউর, সার্সা)।
সম্বন্ধ-এব্রোটে, এলু, বোরাক্স, ক্যাল্ক কার্ব, গ্র্যাফাই, নেট্রাম মিউ, সাইলি এবং অন্যান্য প্রধান প্রধান এন্টিসোরিক ঔষধের সহিত সম্বন্ধযুক্ত।
[ শক্তি-৩০, ২০০ ]
কোন মন্তব্য নেই