ট্যারেন্টুলা (Tarantula) [ ট্যারেন্ট -TARENT ]
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ট্যারেন্টুলা (Tarantula) [ ট্যারেন্ট -TARENT ] লক্ষণ প্রয়োগ ঔষধ সম্পর্ক ।।
[কিউবা ও স্পেনে বিশেষ প্রকার মাকড়সা হইতে দুইটি ঔষধ প্রস্তুত হয়, উহাদের নাম যথাক্রমে ট্যারেন্টুলা কিউবেন্সিস ও ট্যারেন্টুলা হিস ]
অত্যন্ত স্নায়বিক প্রকৃতির লোকের পক্ষে উপযোগী, বিশেষতঃ তান্ডব রোগে যাহাদের সমস্ত দেহ অথবা দক্ষিণ বাহু এবং বাম পদ আক্রান্ত হয় (বাম হস্ত ও দক্ষিণ পদ-এগারি)।
পদদ্বয়, বাহুদ্বয় এবং দেহকান্ড অবিরত সঞ্চালিত হইতে থাকে, এই জন্য কিছু করিতে পারে না; পেশীসমূহের উৎক্ষেপ ও কম্পন।
অস্থিরতা, কোনরূপ অবস্থানেই স্থির হইয়া থাকিতে পারে না; সর্বদা নড়াচড়া করিতে হয়, যদিও হাঁটিবার সময়েও তাহার সব লক্ষণেরেই বৃদ্ধি হইয়া থাকে (রাস ও রুটার বিপরীত)।
বোধাধিক্য; সামান্য উত্তেজনাতেও উপদাহ জন্মে, পরক্ষণেই দুঃখভাবের সহিত অবসন্নতা দেখা দেয়, হস্তাঙ্গুলির অগ্রভাগেই উহার আধিক্য।
মেরুদন্ডের উপর সামান্য স্পর্শেও বক্ষ ও হৃদপিন্ডস্থানে আক্ষেপিক বেদনা দেখা দেয়।
শিরপীড়া, তীব্র বেদনা, মনে হয় যেন সহস্র সহস্র সূচ মস্তিস্কের মধ্যে বিদ্ধ হইতেছে।
বড় ফোঁড়া, স্ফোটক, আঙ্গুলহাড়া, আক্রান্ত অংশের বর্ণ নীলাভ (ল্যাকে) এবং নিদারুণ জ্বালাকর বেদনা (এন্থ্রা, অর্স) আঙ্গুলহাড়ার যন্ত্রণায় রোগী রাত্রির পর রাত্রি ঘরের মেঝের উপর দিয়া হাঁটিয়া বেড়াইতে বাধ্য হয়।
দুষ্ট প্রকৃতির ক্ষত, কার্বাঙ্কল, এনথ্রাক্স বিষজাত ক্ষত, গ্যাংগ্রিন। লক্ষণগুলি নির্দিষ্ট কাল ব্যবধানে আবির্ভূত হয়।
শিরঃপীড়া, স্নায়বিক, গোলমাল, স্পর্শ ও উজ্জ্বল আলোকে বৃদ্ধি; বালিশে মাথা ঘষিলে উপশম।
প্রত্যেকবার ঋতুস্রাবকালে, গলমধ্য, মুখগহ্বর ও জিহ্বা অত্যন্ত শুষ্ক হইয়া যায়, বিশেষতঃ নিদ্রাকালে (নাক্স মস্ক)।
জননেন্দ্রিয়ের প্রবল উত্তেজনায়, এমনকি পাগল হইয়া উঠে, জরায়ুর আক্ষেপ, যোনিকন্ডুয়ন অসহ্য হয়।
সম্বন্ধ-সমগুণ-এপিস, ক্রোটেল, ল্যাকে, প্ল্যাটিনা, মাইগেল, ন্যাজা, থেরেডি।
উপচয়-সঞ্চালনে, স্পর্শে, আক্রান্ত অঙ্গ স্পর্শ করিলে, গোলমালে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে।
উপশম-খোলা বাতাসে, সঙ্গীতে, আক্রান্ত অঙ্গ ঘষিয়া দিলে।
স্নায়ুসমূহের প্রাপ্ত এতই উপদাহিত ও অনুভূতিযুক্ত হইয়া পড়ে যে উপশম পাইবার জন্য কোন না কোন প্রকার ঘর্ষণের আবশ্যক হয়।
[শক্তি-৬, ৩০, ২০০]
কোন মন্তব্য নেই