Header Ads

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম (Natrum Muriaticum) [নেট মিউর]


নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম (Natrum Muriaticum) [নেট মিউর]
নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম (Natrum Muriaticum) [নেট মিউর]

ভিন্ন নাম- সোডিয়াম ক্লোরাইড

সাধারণ নাম- লবন

সংক্ষিপ্ত নাম- নেট-মিউর (Nat Mur)

প্রস্তুত পদ্ধতি- সাধারণ লবন জলে মিশ্রিত করিয়া উত্তাপ দিলে ইহার দানা সকল প্রস্তুত হয়। শীতল জল অপেক্ষা উষ্ণ জলেই ইহার অধিক ভাব দ্রব হয়। ইহা পরিশ্রুত সুরায় দ্রব হয় না। মূল দ্রব্যের সহিত দুগ্ধশর্করা দ্বারা ইহার বিচুর্ণ প্রস্তুত করিতে হয়।

হোমিওপ্যাথিক ও বাইওকেমিক উভয় সম্প্রদায়ের চিকিৎসকগণই নেট্রাম মিউরকে একটি বিশেষ মূল্যবান ঔষধ বলিয়া মনে করেন। খাদ্যের সহিত দৈনিক আমরা যথেষ্ট পরিমাণ লবণ খাইতেছি, অথচ তদ্দারা কোন ভেষজ ক্রিয়াই প্রকাশিত হয় না; কিন্তু যখন সেই মূল দ্রব্যের অন্তর্নিহিত ভেষজশক্তি প্রকাশিত হইল, তখন তদ্দারা কি অত্যদ্ভত ফলই না লাভ হইতে লাগিল। বিরুদ্ধবাদী চিকিৎসকেরা শক্তিকৃত নেট্রাম মিউরকে স্থূল লবণ ভাবিয়া, উহার কোন ক্রিয়াই মানবশরীরে হইতে পারে না বলিয়া মত প্রকাশ করেন। বস্তুতঃ তাহা সঠিক নয়।

ক্রিয়া- মনুষ্যশরীরে অজৈব লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম ফসফেট বা ফসফেট অব লাইম ব্যতীত উপযুক্ত লবণের ভাগই অধিক। মনুষ্যশরীরে শতকরা ৬০ ভাগ জলীয়াংশ বর্তমান আছে এবং উহা সোডিয়াম ক্লোরাইড এর সাহায্যে ভিন্ন আবশ্যকানুযায়ী শরীরের সর্বত্র পরিচালিত হইতে পারে না। আহার্য বস্তু ও পানীয় হইতে জলীয়াংশ শোষণপূর্বক ইহা শরীরস্থ কোষসমূহ মধ্যে প্রদান করিয়া তাহাদিগকে আদ্র্ রাখে। ইহা শরীর হইতে অনিষ্টকর পদার্থসমূহকে বহিস্কৃত করিয়া দেয়; কেন না জলীয় পদার্থের সহিত মিশ্রিত না হইয়া কোন প্রকার ময়লাই শরীর হইতে নিঃসৃত হইতে পারে না। যদি কোন কারণে শরীরে নেট্রাম মিউরের অভাব হয়, অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড প্রস্তুত না হয়, তাহা হইলে জলীয়াংশ শোষিত হইতে না পারিয়া উহা শরীরস্থ কোষের মধ্যেই সঞ্চিত হইতে থাকে। ইহার ফলে নানাপ্রকার দুর্লক্ষণ প্রকাশ পায়। সর্দিগর্মি রোগে সোডিয়াম ক্লোরাইডের অভাব হইলে, শরীরের অন্যান্য স্থান বিশেষতঃ গ্রীবাপৃষ্ঠ হইতে জলীয়াংশ শোষিত হইয়া মস্তিষ্কের তলদেশে সঞ্চিত হয় এবং জলীয়াংশ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়া মস্তিষ্কে চাপ প্রদান করে। এই সময় বিবিধ দুর্লক্ষণ প্রকাশ পায়। আবার সূক্ষ মাত্রায় নেট্রাম মিউর (৬এক্স বা ৩এক্স) প্রদানের ফলে অতি শীঘ্রই উহা সাম্যভাব ধারণ করে। আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে সাধারণতঃ এই পীড়া প্রকাশ পায়। ডিলিরিয়াম ট্রিমেন্স রোগে সূক্ষমাত্রায় এই ঔষধ ব্যবহারে আশ্চর্য ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়।

এই পদার্থের অভাব হইলে, শোষণের অভাববশথঃ শরীরে জলীয়াংশ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ফলে শরীরের বর্ণ ফ্যাকাশে, চক্ষু মুখ ছলছল করা, চক্ষু ও নাসিকা হইতে জলপড়া, ক্লান্তি, তন্দ্রা, শোথ প্রভৃতি বিবিধ লক্ষণ প্রকাশ পায়। অসুস্থ রোগী লবণ ভক্ষণ করিতে ইচ্ছা প্রকাশ নেট্রাম মিউরের অভাব নিঃসন্দহরূপে অবগত হওয়া যায়। এই অবস্থায় অভাব পূরণার্থ রোগী যদিও অধিক মাত্রায় লবণ ভক্ষণ করে, তজ্জন্ন তাহারা তাহার কোন উপকারই হয় না; কেন না শরীরস্থ কোষসমূহ সুক্ষ বলিয়া ঐ প্রকার স্থুল লবণ গ্রহণ করিতে সমর্থ হয় না। এই অবস্থায় সূক্ষ মাত্রায় (উচ্চ শক্তিতে) লবণ ব্যবহার করা প্রয়োজন।

চক্ষুস্থ টিয়ার বা অশ্রুগ্রন্থি এবং লালাগ্রন্থিতে ইহার অভাব হইলে, চক্ষু হইতে জল ও মুখ হইতে লালা পড়ে। ইহার অভাব হইলে জলবৎ তরল উদরাময় সৃষ্টি হয় এবং সঙ্গে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির উত্তেজনা থাকিলে উহার সহিত উজ্জল পরিস্কার শ্লেষ্মা নির্গত হয়। এই লবণিক পদার্থের অভাববশতঃ কোন কোন স্থানে জলীয়াংশ বৃদ্ধি, আবার কোন কোন স্থানে জলীয়াংশের স্বল্পতা লক্ষিত হয়। যেমন পাকস্থলীর সর্দিবশতঃ জলীয় পদার্থ বমন, নাসিকায় সর্দিবশতঃ নাসিকা হইতে জলবৎ শ্লেষ্মা নির্গমন, নানাস্থানে চর্মে জলপূর্ণ ফোসকা, অন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে জলীয়াংশের অভববশতঃ দুর্দমনীয় কোষ্ঠবন্ধতা ইত্যাদি।
সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরস্থ টিশুর উপর ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া ইউরিয়া নামক পদার্থ নিঃসরণ করে। তজ্জন্য চর্ম ও গ্রন্থিপীড়া ইত্যাদিতে ইহার ব্যবহার হয়। ইহা শুধু শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি নহে-রস, রক্ত, প্লীহা, যকৃৎ ইত্যাদি নানবিধ যন্ত্রের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া থাকে। সুতরাং ইহার অভাবে ঐ সমস্ত বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হয়। চকচকে পরিষ্কার জিহ্বার উপর জলীয় পদার্থ বা থুতুর ন্যায় পদার্থ দৃষ্ট হইলে ইহার অভাব সম্বন্ধে আর সন্দেহ থাকে না। ইহার অভাবে রক্তাল্পতা, শীর্ণতা, দূর্বলতা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়।

যাহারা কোনপ্রকার রোগ ভোগকালে অধিক মাত্রায় লবণ ভক্ষণ করে, তাহাদের চিকিৎসাকালে অতিরিক্ত লবণ ভক্ষণ নিষিদ্ধ করিয়া সূক্ষ মাত্রায় নেট্রাম মিউর প্রদান করিতে হয়। স্থুল লবণ শরীরের কোন কার্যেই আসে না, অধিকন্তু উহা স্নায়ুমন্ডলীর উত্তেজনা আনয়ন করিয়া সূক্ষ মাত্রায় লবন গ্রহণে বাধা প্রদান করিতে থাকে। নেট্রাম মিউরের রোগীকে খাদ্যের সহিত প্রচুর পরিমাণে লবণ খেতে দিলে উহা সে হজম করিতে পারে না; কারণ মলের সহিত উহা বাহির হইয়া যায়।

সোডিয়াম ক্লোরাইডের অভবশতঃ শরীরস্থ জলীয়াংশে আকর্ষিত হয় না বলিয়া উদরী ইত্যাদির সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় জল লবন সংযুক্ত খাদ্য একেবারে বন্ধ করিয়া দিতে হয়। কে না লবণবিহীন খাদ্যাহারে শরীরে যে নেট্রাম মিউরের অভাব হইয়াছিল, উদরীর জলীয় ভাগ হইতে পূর্বনিঃসৃত নেট্রাম মিউর পুনরায় রক্তে মিশ্রিত হইবার সুযোগ লাভ করিয়া পূর্ব অভাব দূর করে এবং পরে উদরীর জল প্রস্রাব ইত্যাদির দ্বারা নিঃসৃত হইয়া পীড়া আরোগ্য হয়। অতিরিক্ত লবণ আহার করিলে যেরূপ শরীরে নানাপ্রকার পীড়া হয়, অত্যল্প পরিমাণ লবণ আহার করিলেও তদ্রুপ পীড়া হয়।
নেট্রাম মিউর গভীরভাবে এবং দীর্ঘকাল কার্যকরী একটি ঔষধ। ইহা সমস্ত শরীরবিধানকে আয়ত্তে আনিয়া স্থায়ী আরোগ্য সাধন করে।


পরিচায়ক লক্ষণ -
  1. একাকী থাকিতে ভালবাসে, কাহারও সহিত কথা কহিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। মানসিক অবসাদ, মনমরা ভাব, সহজেই অশ্রুপতনশীল স্বভাব, সান্তনা দিলে আরও বিরক্ত হয়। 
  2.  স্মরণশক্তির হ্রাস। 
  3. উৎকৃষ্ট আহারাদি সত্তেও শিশুদের শীর্ণতা রোগ, বিশেষতঃ গ্রীবাদেশের শীর্ণতা। 
  4. প্রাতঃকালে নিদ্রাভঙ্গের পর প্রবলবেগে শিরঃপীড়া। সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শিরঃপীড়ায় বৃদ্ধি। মনে হয় যেন মস্তক বিদীর্ণ হইয়া যাইবে। যেন সহস্র হাতুড়ি মস্তকে আঘাত করিতেছে। শিরঃপীড়া সহ নিদ্রালুতা। শয়নে, চুপ করিয়া থাকিলে এবং ঘর্ম হইলে উপশম।  
  5. বিদ্যালয়ের ছাত্রীদিগের শিরঃপীড়া (ক্যাল্ক-ফস)।
  6. সর্দিগরমির ইহাই প্রধান ঔষধ। 
  7. বিকারে রোগী বিড়বিড় করিয়া প্রলাপ বকে (কেলি ফস)। 
  8. জিহ্বা পরিষ্কার আঠা আঠা বুদ্বুদযুক্ত থুথুর ন্যায়; মানচিত্রের ন্যায়। 
  9. যে কোন রোগের সহিত অনিবার্য নিদ্রা যাওয়ার প্রবৃত্তি থাকে। তন্দ্রালুতা। 
  10. অত্যন্ত লবণ খাওয়ার স্পৃহা এবং রুটি ভক্ষণে অনিচ্ছা। 
  11. চক্ষের সর্বপ্রকার রোগেই চক্ষু হইতে অজস্র হাজাজনক অশ্রু নির্গত হইলে উৎকৃষ্ট। চক্ষুজ্বালা আছে। একটি জিনিসকে দুইটি দেখায় এবং কোন জিনিসের অর্ধভাগ দেখা যায়, পড়িতে গেলে অক্ষর সকল নড়িয়া বেড়ায়। আলোকে অসহিষ্ণুতা। প্রাতঃকালে রোগ বৃদ্ধি। 
  12. সামান্য মাত্র ঠান্ডা লাগিলেই সর্দি হয়। নাসিকা হইতে জল পড়ে ও মধে মধ্যে হাঁচি হয়। স্রাবে নাকের কোণ হাজিয়া যায়। 
  13. প্রভূত লালাস্রাব অথবা জলীয় বমন সহ পাকস্থলীর যে কোন অসুখ। আহারের পর দূর্বলতা ও আলস্য বোধ এবং পাকস্থলী ও যকৃৎ স্থানে একপ্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা ভোগ করে। অতিশয় ক্ষধার্ত হয়, কিন্তু আহারের পরক্ষনেই পেট ভার হইয়া যায়। 
  14. বিবিধ রোগের সহিত অশ্রুপতন, লালাস্রাব এবং অতি তৃষ্ণা এই ঔষধের উৎকৃষ্ট নির্বাচক লক্ষণ।
  15. অতিশয় কোষ্ঠবদ্ধতা ও শিরঃপীড়া। মানসিক অবসাদ ও মনমরা ভাব। 
  16. অসাড়ে মল নির্গত হয়; বায়ু নিঃসরণ করিবার সময় মল কি বায়ু নিঃসরণ হইবে বুঝিতে পারে না। মেজাজ অতিশয় খিটখিটে। তিক্ত ও লবণাক্ত আহারে স্পৃহা। মল জলবৎ, কাল এবং তৎসহ বেদনা, টাটানি ও ক্ষতবৎ বোধ হয়; মল ফেনা ফেনা, থুথুযুক্ত, চকচকে সাদা শ্লেষ্মা, পুনঃপুনঃ কুন্থন থাকে। মল যে স্থানে লাগে হাজিয়া যায়। 
  17. উদরী পীড়ার ভাল ঔষধ, বিশেষতঃ ম্যালেরিয়া ও কুিইনাইনের অপব্যবহার হইলে। অতিশয় তৃষ্ণা, কিন্তু প্রস্রাব কম। কোষ্ঠবদ্ধতা। 
  18. সূত্রবৎ কৃমিসহ মুখ দিয়ে জল ওঠা। 
  19. বহুমূত্রে, শর্করাবিহীন, জলবৎ বহুল মূত্রত্যাগ এবং তৎসহ অতিশয় তৃষ্ণা, মুখ দিয়ে জল ওঠা, শরীর শীর্ণ, মানসিক বিষণ্নতা। প্রস্রাব ত্যাগের পর জ্বালা। প্রস্রাবের বেগ ধারণ করিতে পারে না। 
  20. প্রমেহ রোগের প্রাচীন গ্লীট অবস্থায় জলবৎ স্রাব। প্রস্রাবের পর জ্বালা। নূতনাবস্থায় অতিশয় জ্বালা থাকিবে। 
  21. একশিরা হইতে পরিষ্কার জলবৎ স্রাব নিঃসরণ। 
  22. নানাপ্রকারের অনিয়মিত ঋতুস্রাব এই ঔষধে দৃষ্ট হয়। ঋতুস্রাব কষনও বন্ধ, কখনও বিলম্বে, কখনও অল্পমাত্রায়, কখনও বা বহুদিবস স্থায়ী হয় এবং যে স্রাব হয়, তাহা জলবৎ তরল ও জ্বালাজনক। এই সঙ্গে মানসিক লক্ষণ বর্তমান থাকে।
  23. যোনির অভ্যন্তর শুস্খ হওয়া বশতঃ রতিক্রিয়ায় কষ্ট। 
  24. প্রত্যেক দিন প্রাতঃকালে যোনিদেশে ভারবোধ এবং যোনির ভিতর দিয়া সমস্ত বাহির হইয়া যাইবে এইরূপ বোধ। 
  25. শ্বেতপ্রদরে জননেন্দ্রিয় হইতে জ্বালাজনক তরল স্বচ্ছ স্রাবনিঃসরণ এবং উহা যে স্থানে লাগে হাজিয়া যায়। স্রাবের পর জ্বালা ও টাটানি নেট্রামের বিশেষত্ব। 
  26. স্বচ্ছ জলের ন্যায় অথবা ফেনিল শ্লেষ্মাযুক্ত বমন। কখনও দুর্গন্ধপূর্ণ অথবা লবণাক্ত জল মুখ দিয়া উঠে। 
  27. সর্বপ্রকার কাশিতে যখন স্বচ্ছ তরল ও ফেনিল শ্লেষ্মা নির্গত হয়। গলা সুড়সুড় করিয়া কাশি ( ফেরাম ফস)। কাশিবার সময় মুখ, নাসিকা, বিশেষতঃ চক্ষু হইতে অজস্র অশ্রুপাত এবং প্রস্রাব নির্গত হয়। (ফেরাম ফস)। সমুদ্রতীরে অথবা লবণাক্ত স্থানে বাস জন্য কাশির বৃদ্ধি। অতিশয় পিপাসা। জিহ্বা পরিষ্কার ও থুথু দ্বারা আবৃত। 
  28. ক্রোধ; রুটি, অম্লখাদ্য আহার; কুইনাইনের অপব্যবহার, কষ্টিক দ্বারা কোন স্থান দগ্ধ করা; শোক, দুঃখ, ভয়, যন্ত্রণাভোগ প্রভৃতি কারণে পীড়ার উৎপত্তি। 
  29. মুখমন্ডল তৈল মাখানোর ন্যায় চকচকে দেখায়। রোগীর চেহারা শীর্ণ, বিবর্ণ, রক্তহীন ফ্যাকাশে এবং অতিশয় দূর্বল। 
  30. হৃৎপিন্ডের স্পন্দনে সমস্ত শরীরেই উহার ঝুঁকি অনুভব করা যায়। নড়াচড়ায়, বিশেষতঃ বাম পাশে শয়নে উহা বৃদ্ধি। 
  31. সর্বপ্রকার চর্ম পীড়ায় যখন জলবৎ তরল স্বচ্ছ স্রাব নিঃসৃত হয়, তখন উৎকৃষ্ট। 
  32. বৃশ্চিক, ভীমরুল, বোলতা দংশনে বাহ্য ও আভ্যন্তরীন প্রয়োগ কর্তব্য। 
  33. জলবসন্তের প্রধান ঔষধ। চক্ষু ও নাসিকা হইতে জল পড়া এবং তন্দ্রা ও বিড়বিড় প্রলাপ থাকিলে। জিহ্বা শুষ্ক, তৃষ্ণা। ঐরূপ লক্ষণযুক্ত হাম। 
  34. রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া পীড়ার উৎকৃষ্ট ঔষধ ( ক্যাল্ক-ফস)। শরীর হইতে রস, রক্ত, স্ত্রীলোকদিগের ঋতুঘটিত ও পুরুষদিগের রেতঃপাতজনিত পীড়াবশতঃ রক্তহীনতা হইলে। এই সঙ্গে পূর্ববর্ণিত মানসিক লক্ষণ সকল শরীরের শীর্ণতা, শিরঃপীড়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, হৃদস্পন্দন, কোমরবেদনা, জরায়ু স্থানচ্যুতি প্রভৃতি লক্ষণ থাকে। 
  35. সবিরাম জ্বরে শীতাবস্থাই প্রবল। সকলপ্রকার জ্বরই বেলা ১০/১১টার সময় আসা নির্দিষ্ট। যে কোন প্রকার জ্বরই হউক না কেন, যদি ঐ সঙ্গে অতিশয় নিদ্রা ও তন্দ্রালুতা, শিরঃপীড়ায় অজ্ঞানাবস্থা, অত্যন্ত তৃষ্ণা, জলীয় বমন ও চক্ষু হইতে জল পড়া থাকে, তাহা হইলে নেট্রাম মিউর নির্দিষ্ট। কুইনইনের অপব্যবহার এবং নানা প্রকার কুচিকিৎসাজনিত জ্বর। ওষ্ঠে মুক্তার ন্যায় জ্বরঠুঁটো বাহির হয়। জিহ্বার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে। ঘর্ম হইয়া শিরঃপীড়া ক্রমে ক্রমে উপশম। 
  36. প্রতঃকালে, বেলা ১০/১১ টার সময়, সমুদ্রতীরে, লবণাক্ত স্থানে বাস, রৌদ্র লাগায়, উত্তাপে, নড়াচড়ায় ও কুইনাইনের অপব্যবহারে বিবিধ পীড়া। 
  37. খোলা বাতাস, শীতল জলে ধুইলে ও দক্ষিণ পাশে শয়নে পীড়ালক্ষণের হ্রাস। 
বিশেষত্ব- বহুপ্রকার রোগে, বিশেষতঃ শিরঃপীড়া ও জ্বরে অজ্ঞান অচৈতন্য হইয়া থাকিলে ইহা বিশেষ উপযোগী। বহু রোগেই অনিবার্য নিদ্রার স্পৃহা দৃষ্ট হয়। মুখ হইতে জলীয় লালাস্রাব এবং জিহ্বা পরিস্কার, সরস বা শুষ্ক এবং থুথুযুক্ত হ্ওয়া ইহার অতি সাধারণ লক্ষণ। কোন স্থানের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির শুস্কতা (কোষ্ঠবদ্ধতা ইত্যাদি), আবার কোন স্থান হইতে জলীয় স্রাব নিঃসরণ (চক্ষু, মুখ, নাসিকা প্রভৃতি স্থান হইতে) ইহার সিদ্ধিপ্রদ লক্ষণ। মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা, মনমরা এবং সহজেই অশ্রুপতনশীলা রমণীদের ঋতুর নানাপ্রকার অনিয়মিত অবস্থা এবং অন্য নানাবিধ পীড়া আরোগ্য হয়। উৎকৃষ্ট আহারাদি সত্ত্বেও বালকদিগের শীর্ণতা রোগ, বিশেষতঃ গ্রীবাই অধিকতর শীর্ণ এবং ঐ সঙ্গে বিবিধ পীড়া। বামপাশে শয়ন করিলে হৃদস্পন্দন, নাড়ী অনিয়মিত এবং বক্ষঃস্থলের স্পন্দনের সহিত সমস্ত শরীরই কম্পিত হওয়া ইহার একটি উৎকৃষ্ট নির্বাচক লক্ষণ। ইহার রোগলক্ষণসমূহ প্রাতঃকালে ১০/১১ টার সময়ে, উত্তাপে ও লবণাক্ত স্থানে বৃদ্ধি পায়। ওষ্ঠে মুক্তার ন্যায় জ্বরঠুঁটা দেখিয়া এই ঔষধ অনেক রোগেই নির্বাচন করা সহজ হইয়া পড়ে। লবণ আহারের অতীব স্পৃহা শ্রবণ করিলেই এই ঔষধের নাম স্মরণ হয়। 

শক্তিঃ বাইওকোমিক মতে ১২X শক্তি অধিক ব্যবহার হয়। 

[নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম (Natrum Muriaticum) [নেট মিউর] Best remedy for headache, sunstroke, insanity, apoplexy, meningitis, brain fag, hemiopia, diplopia, double vision, chorea, coryza, influenza, tonsillitis, sore throat, diphtheria, goitre, toothache, caries of the teeth, disease of spine, indigestion, dyspepsia, constipation, diarrhea, cholera, hiccough, piles, ascites, worms, diabetes, gonorrhoea, spermatorrhoea, syphilis, orchitis, hydrocele, amenorrhoea, prolapsus of uterus, leucorrhoea, vomiting, cough, bronchitis, pneumonia, phthisis, asthma, rheumatism, paralysis, neuralgia, dropsy, skin disease, eczema, urticaria, dandruff, ulcer, pox, measles, anaemia, chlorosis, marasmus, fever, সর্দিগরমি, মদাত্যয়, উম্মাদ, মস্তিস্ক ঝিল্লির প্রদাহ, মস্তিস্ক শূণ্যতা, চক্ষুপীড়া, কর্ণ পীড়া, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টনসিল প্রদাহ, গলক্ষত, ডিফথিরিয়া, গলগন্ড, দাঁতের বেদনা, দন্তক্ষয়, মেরুদন্ডের পীড়া, অজীর্ণতা, কোষ্ঠবদ্ধতা, উদরাময়, হিক্কা, অর্শ, উদরী, কৃমি, যকৃত পীড়া, বহুমূত্র, প্রমেহ, ধাতুদৌর্বল্য, উপদাংশ, অন্ডকোষ প্রদাহ, স্বল্পরজঃ কষ্টরজঃ প্রসবান্তিক পীড়া, জরায়ুর স্থানচ্যুতি, শ্বেতপ্রদর, বমি, কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ক্ষয়কাশ, হাঁপানি, হৃৎপিন্ডের পীড়া, বাত, পক্ষাঘাত, স্নায়ুশূল, শোথ, একজিমা, চর্মপীড়া, আঁচিল, খুশকি, হাম, বসন্ত, ক্ষত, রক্তাল্পতা, শরীর শীর্ণতা, জ্বর,বিসন্নতা রোগে বহুল ব্যবহৃত ঔষধ ] [ শারিরিক ও মানসিক লক্ষণ থাকা জরুরী] 
Also Popular As: নেট্রাম মিউর  NM, N.M. Nat. Mur, খাবার লবন, Nat Mur, 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.