Header Ads

সাইলিসিয়া (Silicea) [সাইলি-Sili]

সাইলিসিয়া (Silicea) [সাইলি-Sili] Biocomic Remedy
সাইলিসিয়া (Silicea) [সাইলি-Sili]

এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক ও এন্টিসিফিলিটিক

ভিন্ন নাম- সিলিকা (সিলিকন, বালুকা হইতে এই ঔষধ প্রস্তুত হয় বলিয়া কেহ কেহ ইহাকে সিলিকা বলিয়া থাকেন), সিলিসিক অক্সাইড।

সাধারণ নাম-কোয়ার্টস ( স্ফটিক), পিওর ফ্লিন্ট।

সংক্ষিপ্ত নাম- সিলিকা।

প্রস্তুত পদ্ধতি-সিলিকা ও কার্বনেট অফ সোডা উভয়কে একত্রে মিশ্রিত করিয়া উত্তাপে উত্তাপে দ্রবীভূত করিয়া লইতে হয়। পরে উহা ছাঁকিয়া হাইড্রোক্লোরিক এসিডসহ অধঃপাতিত করিতে হয়। এই পদার্থ দেখিতে সাদা এবং তাহাতে কোনও স্বাদ বা গন্ধ থাকে না। দুগ্ধশর্করার সহিত চুর্ণ প্রস্তুত নিয়মানুযায়ী চুর্ণ প্রস্তুত করিয়া লইতে হয়।

ফ্লিন্ট নামক প্রস্তরকে পরিষ্কার ও দগ্ধ করিয়া লবণ সহযোগে দ্রবীভূত করিয়া লইলেই এই ঔষধ প্রস্তুত হয়।

ক্রিয়া- নানাপ্রকার শস্য, ঘাস, বৃক্ষ ও লতা পাতাদির মধ্যে এই পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকিলেও, মনুষ্য শরীরে ইহার পরিমাণ নিতান্ত অল্প। মনুষ্যের চুল, নখ ও ত্বকের মধ্যে এই পদার্থের অস্তিত্ব অন্যান্য স্থান অপেক্ষা অধিক পরিমাণ লক্ষিত হয়। তবে রক্ত, মাংস, মস্তিষ্ক, স্নায়ু, মুত্র, পিত্ত প্রভৃতির উপরেও ইহার ক্রিয়া দৃষ্ট হয়। সাধারণ বালুকার কোন ভেষজ গুণ নাই, ইহা সকলেই স্বীকার করিবেন। সাধারণ লবণ সম্বন্ধেও একথা বলা চলে। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক নিয়মানুযায়ী ট্রাইটুরেশান বা শক্তীকৃত করিলে ইহার অন্তর্নিহিত যে অসীম শক্তির বিকাশ হয়, তাহা অ্যালোপ্যাথগণের ধারণারও অতীত। মানবদেহস্থ সংযোজক তন্তুর মধ্যে ইহার অস্তিত্ব বর্তমান আছে। শরীরস্থ অণ্ডলাল ও সৌত্রিক পদার্থ মধ্যে ইহার ক্রিয়া দৃষ্ট হয়। মৃত্তিকার উপরের আবরণেও ইহা আছে। বৃক্ষাদি মৃত্তিকা হইতে রস গ্রহণ করে বলিয়া বৃক্ষাদিও এই ধাতব পদার্থ গ্রহণ করিয়া থাকে। তজ্জন্য বৃক্ষাদির ত্বকে ইহা বহু পরিমাণে দৃষ্ট হয়। ঘাস ইত্যাদির শক্ত হওয়ার কারণেও এই ধাতব পদার্থ। হস্ত, বিশেষতঃ পদের ঘর্ম বন্ধ হইয়া যে সমস্ত পীড়া হয়, তাহাতে ইহা বিশেষ উপযোগী। সাইলিসিয়া প্রয়োগ করিলে প্রথমে রুদ্ধ ঘর্ম পুনঃপ্রকাশিত হইয়া পীড়া আরোগ্য করে এবং পরে ঘর্মেও আরোগ্য হইয়া যায়। ঘর্মরোধের ফলে বাত, পক্ষাঘাত, ছানি, হিষ্টিরিয়া, এপিলেপ্সি প্রভৃতি পীড়ার প্রধান ঔষধ। যে সমস্ত শিশুর মস্তকপৃষ্ঠে প্রভূত পরিমাণে ঘর্ম হইয়া বালিশ ভিজিয়া যায়, তাহাদের যে কোন পীড়ায় ইহা বিশেষ উপযোগী।

শরীর হইতে পুঁজ বাহির করিতে এবং অতিরিক্ত পুঁজস্রাব হ্রাস করিতে ইহার অদ্ভুত ক্ষমতা দৃষ্ট হয়। যে সমস্ত স্থানে পুঁজোৎপত্তি হয়, সেই সমস্ত স্থানেই ইহার ক্রিয়া সর্বাধিক। নালীক্ষতের নাম শুনিলেই এই ঔষুধের নাম স্মরণ হইয়া থাকে। পুঁজোৎপত্তির সম্ভাবনা হইলেই যেরূপ এই ঔষধ প্রয়োগ করিতে হয়, আবার বহুদিন ধরিয়া পুঁজ (দুর্গন্ধজনক) নিঃসৃত হইতে থাকিলেও তদ্রুপ ইহা প্রয়োগ করা ভিন্ন উপায় থাকে না। প্রদাহে এ্ ঔষধ ফেরাম ফস ও কেলি মিউরের পরে এবং ক্যাল্ক-সালফের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। শরীরে সাইলিসিয়া উপযুক্ত পরিমাণে থাকিলে ষ্ফোটকাদি শীঘ্রই পাকিয়া যায় এবং ক্ষতস্থানও শুষ্ক হইয়া যায়। কিন্তু ইহার অভাব হইলে ষ্ফোটকাদি পাকেও না এবং উহার ষ্ফীতি ও কাঠিন্য বহুদিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে। কোন স্থান হইতে পুঁজ নিঃসৃত হইতে থাকিলেও যদি ঐ সমস্ত স্থানের স্ফীতি বর্তমান থাকে, তাহা হইলে সাইলিসিয়াই উপযুক্ত ঔষধ। এই অবস্থায় এই ঔষধ দিলে সঞ্চিত রসাদি হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়া ক্ষতস্থান শুষ্ক হইয়া যায়। কিন্তু রসাদি হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়াও যদি পুঁজ নিঃসৃত হইতে থাকে, তাহা হইলে আর সাইলিসিয়া দ্বারা উপকার হইবে না, তখন ক্যাল্ক-সালফই প্রকৃত ঔষধ। ক্যল্ক-সালফ দ্বারা ক্ষতাদি শীঘ্রই শুষ্ক হইয়া যায়।

খারাপ বীজে টিকা দেওয়ার ফলে যে সমস্ত পীড়া জম্মে, তাহাতে ইহা উপযোগী। পারদাদি বাহির করিয়া দিতে সাইলিসিয়া অতি উত্তম ঔষধ। শরীর হইতে কোন জিনিস বাহির করিয়া দিতে ইহার অসীম ক্ষমতা দৃষ্ট হয়। শরীরের ভিতর কাঁটা, ছুঁচ ইত্যাদি ফুটিলে সাইলিসিয়া সেবনে বাহির হইয়া যায়। সেইজন্য ইহা ষ্ফোটককে যেরূপ পাকায় সেই রূপ ষ্ফোটক পাকিলে ছুরিকার ন্যায় পুঁজ বাহির করিয়া দেয়।

ইহার অভাব হইলে নখগুলি ভাঙ্গিয়া যায় এবং উহার চতুষ্পার্শে পুঁজ জমে। ইহার অভাবে শরীরের চর্ম অসুস্থ হয় এবং সামান্য আঁচড় লাগিলেও তাহাতে পুঁজোৎপত্তি ও ক্ষত হয়।

কোন সংযোজক তন্তুতে সাইলিসিয়ার অভাব হইলে ঐ স্থান শুষ্ক হইতে থাকে। মস্তিষ্কে ঐরূপ হইলে ধারণাশক্তির ব্যতিক্রম হয়। রোগী সামান্য গোলমালও সহ্য করিতে পারে না। সামান্য উত্তেজনায় মন অস্থির হয়।

সাইরিসিয়ার কার্য ধীর এবং পরীক্ষার সময় ইহার লক্ষণগুলিও ধীরে ধীরে প্রকাশ পাইয়াছিল। সতরাং যে সমস্ত পীড়া ক্রমশঃ পাইতে থাকে, তাহাতে ইহা উপযোগী। ইহা দীর্ঘকাল ও গভীরভাবে কার্যকরী ঔষধ, এমন কি ইহার দ্বারা বংশগত দোষ পর্যন্ত দূর হইতে পারে।

রোগলক্ষণসমূহ রাত্রিকালে, পূর্ণিমার সময়, উম্মুক্ত বায়ুতে বৃদ্ধি ও উত্তাপে উপশমিত হইলে এই ঔষধ বিশেষ উপযোগী।

পরিচায়ক লক্ষণ-
  1. সাইলিসিয়ার শিশু ষ্ক্রোফুলাস ও রিকেটিক ধাতুর। তাহার মস্তকটি প্রায়ই বৃহৎ, ব্রহ্মরন্ধ্রচয় ও মস্তকের অস্থির সংযোজক স্থানসমূহ বহুদিন পর্যন্ত অযুক্তাবস্থায় থাকে এবং তাহার মাথায় প্রভুত পরিমাণে ঘর্ম হয়। মাথায় এত ঘর্ম হওয়া সত্তেও সে মস্তক আচ্ছাদিত না করিয়া থাকিতে পারে না। মুখমন্ডল বৃদ্ধের ন্যায়, বুদ্ধি স্থুল, পেট মোটা ও হাপ পা সরু সরু। 
  2. পায়ের দুর্গন্ধজনক ঘর্ম এবং পায়ের ঘর্ম লুপ্ত হইয়া সৃষ্ট যে কোনও প্রকার পীড়ায় অব্যর্থ। 
  3. ঠান্ডায় অনাবৃত থাকিলে, বিশেষতঃ মস্তকটি এবং আমাবস্যায়, পুর্ণিমায় ও রাত্রিকালে সকল পীড়ালক্ষণের বৃদ্ধি। 
  4. উত্তাপে, বিশেষতঃ মস্তকটি আচ্ছাদিত করিয়া রাখিলে সকল পীড়ালক্ষণের হ্রাস। 
  5. রোগীর মেজাজ খিটখিটে, যেন সে রাগিয়াই আছে। 
  6. টিকা দেওয়ার কুফলবশতঃ যে সমস্ত পীড়া হয়, তাহাতে ইহা উপযোগী। প্রস্তরখোদকদিগের বিবিধ পীড়ায়, বিশেষতঃ ফুসফুস সংক্রান্ত পীড়ায় ইহা ফলপ্রদ। 
  7. শিরঃপীড়ায় উপর দিকে চাহিলে রোগী সম্মুখের দিকে হুমড়ি খাইয়া পড়িয়া যাইবে বলিয়া মনে হয়। যে শিরঃপীড়া ঘাড় হইতে আরম্ভ করিয়া মাথার উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং ঐ বেদনা দক্ষিণ চক্ষুর উপর আসিয়া স্থিত হয়। যৌবনকালে কোন কঠিন পীড়ার পরবর্তী কষ্টদায়ক শিরঃপীড়া। 
  8. ইহা পুঁজোৎপত্তিকরণের জন্য, পুঁজোৎপত্তি হইলে উহা বিদীর্ণ করিবার জন্য এবং বিদীর্ণ হইবার পর ক্ষত শুষ্ক করিবার একমাত্র ঔষধ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইহার সর্বপ্রকার স্রাবই গাঢ় হরিদ্রাবর্ণের, অথবা পাতলা জলবৎ কলতানির ন্যায়, কিন্তু অতিশয় দুর্গন্ধযুক্ত। ইহা অস্থিক্ষত, নালীক্ষত, ভগন্দর, কানপাকা ইত্যাদির মহৌষধ। ঠান্ডা ও উম্মুক্ত বায়ুপ্রবাহ সহ্য হয় না। 
  9. শিশুরা স্তনদুগ্ধ, গোদুগ্ধ অবা অন্য যাহাই পান করুক না কেন বমন করিয়া ফেলে। বমন অম্লস্বাদযুক্ত অথবা জমা জমা ছানার ন্যায়। 
  10. অতিশয় রাক্ষুসে ক্ষধা অথবা ক্ষুধাহীনতা। আহারের পর পেটকামড়ানি ও মুখ দিয়া জল উঠা। গরম খাদ্য এবং রান্না করা কোন খাদ্যই রোগী খাইতে চাহে না, শীতল খাদ্য ও কাঁচা ফল মুল খাইতে ভালবাসে। দুগ্ধ ও মাংস সহ্য হয় না। 
  11. উদরাময়ে অতিশয় দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা মল। টিকা দেওয়ার মন্দ ফলে উদরাময়। পরিবর্তনশীল পাতলা মল। শিশু উদর পুরিয়া ভাল ভাল খাদ্য আহার করিয়া শীর্ণ হইয়া পড়ে এবং অজীর্ণতাবশতঃ তাহার মলে খাদ্যকণা দৃষ্ট হয়। 
  12. অতিশয় কোষ্ঠবদ্ধ। মল কতকটা বাহির হইয়া পুনরায় ভিতরে চুকিয়া যায়। 
  13. অতিরিক্ত স্ত্রীসহবাসে অথবা হস্তমৈথুনের কুফলস্বরূপ বিবিধ পীড়া। 
  14. সর্বদা শীতল জলের মধ্যে কার্যকারিণীদিগের অতিরিক্ত রজঃস্রাব। স্রাব যে স্থানে লাগে হাজিয়া যায় এবং তাহাতে অতিশয় দুর্গন্ধ থাকে। সন্তানকে স্তন্যদান করিবার সময়ে যোনিদ্বার দিয়া উজ্জল রক্তস্রাব। 
  15. দুর্গন্ধজনক, জ্বালাকারক, দুগ্ধের ন্যায় বর্ণবিশিষ্ট শ্বেত প্রদরস্রাব। 
  16. সর্বপ্রকার কাশি অথবা শ্বাসযন্ত্রের পীড়ায় প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধবিশিষ্ট গাঢ় হরিদ্রাবর্ণ বা সবুজাভ হরিদ্রাবর্ণের পুঁজের ন্যায় নিষ্ঠীবন। যক্ষ্ণাক্রান্ত ব্যক্তিদিগের অতিশয় দুর্বলকর নৈশঘর্ম। হাঁপানি কাশির সহিত শ্বাসকষ্ট। শয়নে, প্রাতঃকালে ও শীতল জল পানে পীড়ার বৃদ্ধি। অমাবশ্যা ও পুর্ণিমায় হাঁপানির বৃদ্ধি। 
  17. কাঁটা, ছুঁচ, অস্থিখন্ড ইত্যাদি শরীর মধ্যে থাকিলে ইহা সেবনে উহা বাহির হইবার সাহায্য করে। 
বিশেষত্ব-
সাইলিসিয়ার নাম শুনিলে নালীক্ষত, ষ্ফোটক, কার্বাঙ্কল, কানপাকা, ভগন্দর ইত্যাদি হইতে পূঁজস্রাব হ্রাস করিবার অদ্ভুত ক্ষমতার কথাই মনে হয়। বস্তুতঃ এ্ই অধিকারে ইহার তুল্য ক্ষমতাশালী ঔষধ আর দ্বিতীয় নাই। কোন ক্ষত হইতে বহুদিন ধরিয়া পুঁজ নিঃসৃত হইতে থাকিলে এই ঔষধ ব্যবহারে যেমন তাহা বন্ধ হয়, আবার কোন স্থান পাকিবার উপক্রম হইলে ইহা তেমনি চতুঃপার্শস্থ অকার্যকরী পদার্থসমূহকে পুঁজরূপে এক স্থানে সঞ্চিত করে এবং পরে বিদীর্ণ করিয়া বাহির করিয়া দেয়। এক্ষেত্রে ইহা চুরিকার কার্য করে। 

যদি শিশুর মাথা সার, পেট মোটা, হাত পা সরু সরু, হাড় কোমল বা বক্র, মাথায় ও পায়ে দুর্গন্ধজনক ঘাম, মুখমন্ডল বৃদ্ধের ন্যায়, বুদ্ধিও স্থুল, স্বভাব খিটখিটে থাকে তাহা হইলে এই ঔষধ সমস্ত রোগেই প্রয়োগ করা যায়। 

রোগলক্ষণসমূহ পূর্ণিমা বা অমাবস্যায়, রাত্রিকালে, অনাবৃত থাকিলে বিশেষতঃ মস্তক ও পদঘর্ম লুপ্ত হইলে বৃদ্ধি এবং উত্তাপে, বিশেষতঃ মস্তকটি কাপড় দ্বারা জড়াইয়া রাখিলে উপশম-এই ঔষধের বিশেষ উল্লেখযোগ্য লক্ষণ। 

পারদদোষ দূর করিতে ইহার অত্যদ্ভুত ক্ষমতা দৃষ্ট হয়। 

ইহার সমস্ত স্রাবই গাঢ় হরিদ্রাবর্ণ-অথবা পাতলা যাহাই হউক না কেন, তাহাতে দুর্গন্ধ থাকিবেই থাকিবে। অতিশয় দূর্বলতার সহিত যক্ষ্ণাগ্রস্থ ব্যক্তিদিগের রাত্রিকালীন প্রভূত ঘর্মে এই ঔষধের নামই প্রথমে স্মরণ হয়। 

মানসিক লক্ষণ-
কোন কার্যেই রোগীর মন বসে না। সংসারে এমন কোন কার্য নাই, যাহা তাহার করিতে ইচ্ছা হয়। যদি কোন সময়ে কোন কার্য সম্পাদন করিবার জন্য গ্রহণ করে, সে অধিকক্ষণ সে কার্য করিতে পারে না- সামান্য কারণেই ক্লান্ত হইয়া পড়ে। কার্য আরম্ভ করিবার পূর্বে ভয়, কিন্তু কার্যে লাগিয়া গেলে সে উহা ভালভাবে সম্পন্ন করিয়া ফেলে। বিবেচনাশক্তি ও স্মরণশক্তি উভয়ই তাহার কম থাকে। মানসিক শরিশ্রম করিতে মোটেই পারে না। সামান্য লেখাপড়ার কাজ করিলে অতিশয় শ্রান্ত হইয়া পড়ে। চিন্তাশক্তিও তাহার হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। স্কুলের বালক বালিকারা কোন বিষয় মুখস্থ বলিতে পারে না, কেবল ভুল হইতে থাকে। 

রোগী অতিশয় অবসাদগ্রস্ত, ভীতচিত্ত ও আশা ভরসা শূণ্য। এই ঔষধ ব্যবহার করিলে রোগী আবার আশান্বিত হয় এবং তাহার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূরীভূত হয়। রোগী সর্বদাই দুঃখিত থাকে, কাহারও কথা শুনিতে তাহার ইচ্ছা করে না, নিজেও কিছু বলে না। চুপচাপ করিয়া থাকিতে সে ইচ্ছা করে। কেহ কথা বলিলে, সামান্য শব্দ বা গোলমাল হইলে রোগী অতিশয় বিরক্তি বোধ করে। রোগীর স্বভাবও খিটখিটে, সব সময় যেন সে রাগিয়াই আছে- সামান্য কারণেই তাহার মাথা গরম হইয়া যায়। 

কোন কোন রোগী কেবল কাঁদে। আত্মহত্যা করিতেও ইচ্ছুক হয়। গৃহত্যাগ করিয়া যাইতে হইবে বলিয়া ভীত হয়।
রোগীর অনেক লক্ষণ পূর্ণিমার সময় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। 

বহুল ব্যবহৃত শক্তিঃ 12 X

[সাইলিসিয়া (Silicea) [সাইলি-Sili] best remedy for headache, suicidal thought, agoraphobia, depression, frustration, sadness, hopeless, hemicrania, brain fag, epilepsy, chorea, neuralgia, spinal irritation, disease of the eye, hordeolum or stye, cataract, otitis and otorrhoea, coryza, ozaena, toothache, gingivitis and gumboil, caries of the teeth, dentition and its effects, tonsillitis, vomiting, dyspepsia, diarrhoea, dysentery, constipation, worms, cholera, gonorrhoea, syphilis, spermatorrhoea orchitis, urinary complaints, leucorrhoea mastitis, tumour of the uterus, rachitis, all kinds of cough, phthisis, asthma, rheumatism, neuralgia, paralysis, plague, abscess, disease of bone, ulcer, sinus, cancer, ingrowing of nails, skin disease, fever, মাথা ব্যাথা, আধকপালে, মস্তিষ্কশূণ্যতা, মৃগী, কোরিয়া, স্নায়ুশূল, মেরুমজ্জার উত্তেজনা, চোখের পীড়া, আঞ্জনি, ছানি, কর্ণপ্রদাহ ও কানপাকা, সর্দি, নাসিকাক্ষত, দন্তশূল, দন্তমাঢ়ীর প্রদাহিক বেদনা, দাঁতের ক্ষয়, টনসিল প্রদাহ, বমি, অজীর্ণতা, উদরাময়, আইবিএস, রক্তামাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা, কৃমি, ওলাউঠা, ভগন্দর, প্রমেহ, উপদাংশ, রেতঃঙ্খলন, মুত্রযন্ত্রের রোগ, অণ্ডকোষ প্রদাহ, একশিরা ও কোরাণ্ড, শ্বেতপ্রদর, ঠুনকো, জরায়ুর অর্বুদ, রিকেট, সর্বপ্রকার কাশি, হাঁপানি, বাত, পক্ষাঘাত, স্নায়ুশূল, কন্টকাদি নিঃসরণ, প্লেগ, ষ্ফোটক, অস্থিপীড়া, হিপজয়েন্টের পীড়া, পায়ের গাঁটের পীড়া, ক্ষত, নালীক্ষত, ক্যান্সার, নখকুনি, চর্মপীড়া, স্রাব লুপ্তহেতু বিবিধ পীড়া, জ্বর রোগে ব্যবহৃত বাইওকেমিক ঔষধ] [শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ অবশ্যই মিল থাকতে হবে]
Also Known as: Silic, S, Si,  বায়োকেমিক ঔষধ সাইলি, 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.