মোডোরিনাম (Medorrhinum) [ মেডো - Medo ]
Medorrhinum - Medo |
মোডোরিনাম (Medorrhinum) [ মেডো - Medo ]
[গণোরিয়ার বিষজাত নোসোড]
অপচিকিৎসা বা চাপাপড়া গণোরিয়ার কুফলে ধাতুগত পীড়া যখন যথাযথ ভাবে নির্বাচিত ঔষধে উপশম করতে পারে না অথবা দ্রুত উন্নতি পরিলক্ষিত হয় না; তখনই মোডোরিনাম (Medorrhinum) [ মেডো - Medo ] এর কথা মনে করিতে হয়। ইহা গণেরিয়ার বিষজাত নোসড গ্রুপের ঔষধ। সাধারণতঃ উচ্চ শক্তিকৃত ঔষধ ২০০ হতে উর্ধের শক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
যে-সকল লোক গেঁটবাত, বাত, স্নায়ুশূল এবং মেরুমজ্জা ও উহার শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীসমূহের রোগে ভোগে-এমনকি যান্ত্রিক পীড়া যাহার পরিনতিতে পক্ষাঘাত জন্মে, যদি রোগটির উৎপত্তি সাইকোসিস দোষ হইতে হইয়া থাকে।
যে-সকল স্ত্রীলোকের ডিম্বকোষের পুরাতন প্রদাহ, স্যালফেনজাইটিস/ ফ্যালোপিয়ান টিউবের প্রদাহ, পেলভিক সেলুলাইটিস, সৌত্রিক আর্বুদ, কৌষিক আর্বুদ এবং জরায়ু ও ডিম্বকোষের অন্যপ্রকার বৃদ্ধিজাত পীড়া থাকে, বিশেষতঃ যদি লক্ষণসমূহ সংঘাতিক আকার ধারণ করে; রোগটির মূলে সাইকোসিস দোষ থাকিলে অথবা না থাকিলেও ব্যবহার্য।
কঠিন অর্বুদ, দুষ্ট প্রকৃতির অর্বুদ অথবা ক্যান্সার রোগ, উহা তরুণ বা পুরাতন যে কোন ভাবে ক্রমশঃ বর্ধিত হইতে থাকিলে যদি লক্ষণ সমূহ সদৃশ হয় এবং সাইকোসিস দোষের ইতিহাস পাওয়া যায়, তাহা হইলে ব্যবহার্য।
সোরিনামের সহিত চর্ম ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্রীর গভীর প্রকৃতির রোগ সমূহের যে সম্বন্ধ, এই ঔষধটির সহিতও গভীর প্রকৃতির সাইকোসিস দোষজাত মেরুদন্ড ও সহানুভূতিক স্নায়ুমন্ডলের পুরাতন রোগ সমূহের সেই সম্বন্ধ।
শিশু বিবর্ণ, রিকেট রোগগ্রস্ত, খর্বকায়, শরীরের বৃদ্ধি স্তব্ধ হইয়া যায় ( ব্যারা কার্ব), মানসিক ভাবে জড়তাগ্রস্ত ও দুর্বল।
সর্বাঙ্গের লাসিকা, গ্রন্থিসমূহের বৃদ্ধিসহ উত্তাপ ও ক্ষততাবোধ।
ক্ষয়কারী দূর্বলতা, ক্লান্তি, জীবনীশক্তির অত্যন্ত ও সর্বাঙ্গীণ অবসন্নতা।
বেদনা-সন্ধিবাতজ, বাতজ, চাপাপড়া গণোরিয়ার কুফল ( ড্যাফনি, ওডো, ক্লিমো); বেদনা-সঙ্কোচক প্রকৃতির, সমস্ত শরীরকে কষিয়া ধরে ( ক্যাক্টাস); সর্বাঙ্গে থেৎলাইয়া যাওয়ার ন্যায় বেদনা (আর্নিকা, ইউপেটো)।
সর্বাঙ্গীণ কম্পনবোধ ( অনুভূতি), অত্যন্ত স্নায়বিকতা, নিরতিশয় অবসন্নতা।
হিমাঙ্গ অবস্থা, সর্বাদা পাখার বাতাস চায় (কার্ব ভেজ), বিশুদ্ধ বাতাস আকাঙ্খা করে, গাত্রচর্ম শীতল, তথাপি গায়ের কাপড় ছুড়িয়া ফেলে ( ক্যাম্ফার, সিকেলি), দেহ শীতল এবং ঘর্মে আবৃত ( ভিরেট্রাম)।
মন-স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, লোকের নাম, শব্দ, অথবা শব্দের প্রথম অক্ষর স্মরণ করিতে পারে না, অত্যন্ত অন্তরঙ্গ বন্ধুর নামটিও জিজ্ঞাসা করিতে হয়, এমনকি নিজের নামটিও ভলিয়া যায়।
শুদ্ধরূপে বানান করিতে পারে না; বিস্মিত হইয়া চিন্তা করে একটি সুপরিচিত নাম কিরূপে বানান করিতে হয়।
কথোপকথনের সময় কথার সুত্র অবিরত হারাইয়া ফেলে।
রোগিণী তাহার লক্ষণগুলি বর্ণনা করিতে অতিশয় অসুবিধা বোধ করেন; এত হতবুদ্ধি হইয়া পড়েন যে তাহাকে বার বার প্রশ্ন করিতে হয়।
না কাঁদিয়া কথা বলিতে পারে না।
মৃত্যু সম্বন্ধে পূর্বানুভূতি বোধ করেন, সর্বদা মৃত্যুর আশঙ্কা করেন।
ঘটনাসমূহ ঘটিবার পূর্বেই এবং সাধারণতঃ নির্ভূলভাবে অত্যনুভূতির সহিত ঐগুলি উপলব্ধি করে।
সামান্য ব্যাপারেই ক্রুদ্ধ হয়, দিবাভাগে রিরক্ত, রাত্রিকালে উল্লসিত।
অত্যন্ত অধৈর্য, খিটখিটে।
উৎকন্ঠিত, স্নায়বিক, অত্যন্ত অনুভুতিশীল, সামান্য শব্দেই চমকাইয়া উঠে।
অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে থাকে, কোন কিছু করিবার জন্য এত ব্যস্ত থাকে যে ক্লান্ত হইয়া পড়ে।
অনেক রোগলক্ষণ ঐগুলি সম্বন্ধে চিন্তা করিলে বাড়ে ( যেই মাত্র বেদনা সম্বন্ধে চিন্তা করে তৎক্ষণাৎ উহা ফিরিয়া আসে-অক্সাল এসি)।
মস্তক-মস্তিষ্কের মধ্যে তীব্র জ্বালাকর বেদনা, মস্তিষ্কের পশ্চাৎদিকেই অধিক, মেরুদন্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
মস্তকে ভার বোধ হয এবং পশ্চাৎদিকে টানিয়া ধরে।
আঁটভাব, আকুঞ্চনবোধ, উহা নিম্নদিকে সমগ্র মেরুদন্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
গাড়ীর ঝাঁকুনিতে শিরঃপীড়া ও উদরাময়।
গলা-রোগিণীর অত্যন্ত সর্দি লাগিয়াছে এরূপ অনুভূতি, এছাড়া অস্থিসমূহের মধ্যে অত্যন্ত যন্ত্রণা, গলদেশ ক্ষততাযুক্ত এবং স্ফীত, তরল বা শক্ত সকল প্রকার খাদ্য গেলাই অসম্ভব হইয়া উঠে ( মার্ক)।
গলদেশ, নাসিকার পশ্চাৎরন্ধ্র হইতে আগত ঘন, ধুসরবর্ণ রক্তাক্ত শ্লেষ্মায় ্অবিরত পূর্ণ থাকে (হাইড্রাষ্টি)।
অবিরত তৃষ্ণা, এমনকি রোগী জলপান করিতেছে এরূপ স্বপ্ন দেখে।
অতৃপ্ত স্পৃহাঃ মদ্যের, কিন্তু পূর্বে রোগিনী উহাকেই ঘৃণা করিতেন (এসের); লবণের (ক্যাল্ক কার্ব, নেট্রাম মিউর); মিষ্টি দ্রব্যের (সালফ); এল মদ্য, বরফ, অম্লদ্রব্য, কমলালেবু, কাঁচা ফলের।
অন্ত্র- মল, আঠার ন্যায়, কাদার ন্যায়, নির্গত হইতে চায় না; সরলান্ত্রের বহির্নিগমনের অনুভূতির জন্য বেগ দিতে পারে না (এলু);
বলের ন্যায় মলের সহিত মলদ্বারের সঙ্কোচন ও নিষ্ক্রিয়তা ( ল্যাকে)।
কেবলমাত্র পশ্চাদ্দিকে অনেক দূর হেলিয়া মলত্যাগ করিতে পারে, মলত্যাগক্রিয়া অত্যন্ত কষ্টকর, মনে হয় যেন মলদ্বার-সঙ্কোচক পেশীর পশ্চাৎভাগে একটি পিন্ড রহিয়াছে, এত বেদনা হয়, যে চোখে জল আসে।
সরলান্ত্রে তীব্র সূচবিদ্ধ হওয়ার মত যন্ত্রণা।
মূত্রযন্ত্র-মূত্রগ্রন্থিপ্রদেশে দারুণ যন্ত্রণা (পৃষ্ঠবেদনা), প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হলে উপশম বোধ করে (লাইকো)।
কিডনীতে বেদনা, মূত্রবাহী নালীতে তীব্র বেদনা, তৎসহ পাথর নির্গত হইতেছে এরূপ অনুভূতি ( বার্বোরিস, লাইকো, ওসিয়াম ক্যানা) বরফ খাইবার ইচ্ছা।
রাত্রিতে শয্যামূত্র-প্রতিরাত্রে এমোনিয়ার গন্ধযুক্ত, ঘোরালবর্ণ প্রচুর মূত্রত্যাগ করে, অতিরিক্ত পরিশ্রম অথবা অত্যধিক খেলাধুলা, অত্যধিক গরম ও ঠান্ডায় বৃদ্ধি; যখন উত্তমরূপে নির্বাচিত ঔষধ ব্যর্থ হয় এবং সাইকোসি দোষের ইতিহাস থাকে।
মূত্রত্যাগকালে মূত্রস্থলী ও অন্ত্রে বেদনাযুক্ত কুন্থনবোধ।
জননেন্দ্রিয়-ঋতুস্রাব; প্রচুর, অত্যন্ত কালচে, চাপ চাপ, যে দাগ লাগে তাহা ধুইয়া উঠাইয়া ফেলা কষ্টকর হয় ( ম্যাগ কার্ব)।
অতিস্রাব; রজোনিবৃত্তিকালে, সপ্তাহের পর সপ্তাহ প্রচুর কালচে, চাপ চাপ, দুর্গন্ধ, স্রাব বেগে নির্গত হয়, নড়িলে চড়িলেই নির্গত হয়, তৎসহ জরায়ুর কোনরূপ দুষ্টপ্রকৃতির পীড়া।
তীব্র রজঃশূল; তৎসহ রোগিনী হাঁটু দুইটি উঁচু করিয়া তুলিয়া রাখে এবং নীচের দিকে ভয়ানক ঠেলামারা বেদনা হয়, প্রসবকালের ন্যায় রোগিণী পা দুইটি কিছুতে ঠেকাইয়া চাপ দিতে বাধ্য হয়।
ভগোষ্ঠ ও যোনিপথে তীব্র চুলকানি, ঐ বিষয়ে চিন্তা করিলে বৃদ্ধি।
স্তন ও স্তনবৃন্ত - ক্ষততাযুক্ত এবং স্পর্শকাতর।
স্তনদ্বয়, বিশেষতঃ স্তনবৃন্তদ্বয় স্পর্শ করিলে বরফের ন্যায় ঠান্ডা, দেহের অন্যান্য অংশ গরম (ঋতুকালে)।
শ্বাসযন্ত্র-হাঁপানি, উপজিহ্বার আক্ষেপ বা দূর্বলতার জন্য গলরোধ হয়, শ্বাসনালী অবরুদ্ধ হওয়ায় বায়ু প্রবেশ করিতে পারে না; কেবলমাত্র উপুড় হইয়া শুইয়া জিহ্বা বাহির করিয়া রাখিলে উপশম বোধ করে।
স্বরযন্ত্রে যেন ক্ষত জন্মিয়াছে এরূপ টাটানি বোধ করে।
স্বাসকষ্ট এবং সংকোচনের অনুভূতি, সহজে শ্বাস করিতে পারে কিন্তু শ্বাস ত্যাগের শক্তি থাকে না ( স্যাম্বু)।
কাশি, শুষ্ক, অবিরত, ভয়ানক, যন্ত্রণাপ্রদ-মহেন হয় যেন স্বরযন্ত্র হইততে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী ছিড়িয়া গিয়াছে, গভীর, পিপার মধ্যে মুখ রাখিয়া কাশিতেছে এরূপ শূণ্যগর্ভ কাশি; রত্রিকালে, মিষ্টদ্রব্য আহারে, শয়ন করিলে বৃদ্ধি; উপুড় হইয়া শয়নে উপশম।
গায়ের, অন্ডলালের ন্যায়, ফেনাযুক্ত; ছোট ছোট সবুজবর্ণ তিক্ত বলের ন্যায়; চটচটে, তুলিতে কষ্ট হয়।
ক্ষয়রোগের প্রারম্ভিক অবস্থা, ফুসফুসের মধ্যখন্ডে দারুণ বেদনা।
পৃষ্ঠ এবং হস্ত-পদাদি- উভয় স্কন্ধাস্থির মধ্যবর্তী স্থানে বেদনা, সমগ্র পৃষ্ঠাংশ ব্যাপিয়া স্পর্শকাতর ( চিনি সালফ)।
তীব্র জ্বালাকর উত্তাপবোধ-ঘাড়ের আরম্ভস্থান হইতে মেরুদন্ডের নিম্নদিকে প্রসারিত হয়, তৎসহ আকুঞ্চনবৎ অসাড়তা, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি।
স্কন্ধের উপরিভাগ ও বাহুর বাত, বেদনা হস্তাঙ্গুলি পর্যন্ত প্রসারিত হয়, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি ( দক্ষিণ দিক-স্যাঙ্গুই, বাম দিক- ফেরাম)।
কটিদেশ সন্নিহিত কশেরুকায় বেদনা এবং স্পর্শকাতরতা। ত্রিকাস্থি, চক্ষু অস্থি এবং নিতম্বদেশের পশ্চাৎভাগে বেদনা, উহা চারিদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে এবং নিম্নাভিমুখে পদদ্বয়ে বিস্তৃত হয়।
নিতম্বদেশ হইতে হাঁটু পর্যন্ত বেদনা, কেবলমাত্র হাঁটার সময় অনুভূত হয়।
পা দু্ইটি ভারবোধ, মনে হয় যেন পা দুইটি সীসার তৈরী, হাঁটা অত্যন্ত কষ্টকর, পা দুইটি এত ভারি বোধ হয যে উহা অক্ষম হইয়া পড়ে।
নিচের দিকে সারারত্রি ব্যাপিয়া কামড়ানি বেদনা- উহাতে ঘুমের ব্যাঘাত হয়।
পা দুইটি এবং পায়ের পাতার অত্যন্ত অস্থিরতা ও অক্ষমতা ( জিঙ্ক)।
বিদ্যুৎচমকানোর সময় পা দুইটি ও বাহু দুইটির তীব্র জ্বালা।
পা দুইটিতে কামড়ানি বেদনা, সে বিছনায় পা দুইটি স্থির রাখিতে পারে না। পা দুইটি শিথিল করিয়া নিদ্রা যাইতে চেষ্টা করিলে বৃদ্ধি।
পা ও পায়ের পাতার ও সম্মুখ বাহুর শীতলতা।
গোড়ালি ও জঙ্ঘার শিরায় টানবোধ এবং সঙ্কোচনবৎ অনুভূতি, পায়ের ডিমে ও পায়ের তলায় খালধরা (কুপ্রাম)।
চলিবার সময় পায়ের গোড়ালি সহজেই ঘুরিয়া যায় (কার্ব এনি, লিডাম)।
হস্তদ্বয় ও পায়ের পাতায় জ্বালা, উহা অনাবৃত রাখিতে চায় এবং পাখার বাতাস করিতে চায় ( ল্যাকে, সালফ)।
পদদ্বয় ও বাহুদ্বয়ের স্নায়বিক শক্তি প্রায় সম্পূর্ণভাবেই নষ্ট হইয়া যায়, সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্ত হইয়া পড়ে।
দেহের ্প্রতিটি সন্ধির কষ্টকর আড়ষ্টতা।
হস্তগুলির সন্ধিগুলির বিকৃতি; আঙ্গুলির সন্ধিগুলি বৃহৎ ও স্ফীত হইয়া পড়ে; গোড়ালিদ্বয়ের স্ফীতি ও কষ্টকরআড়ষ্টতা, পদতল ও গোড়ালির তলদেশে অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা, সব সন্ধিগুলিই ফুলিয়া স্পঞ্জের মত হয়।
সম্বন্ধ- শুষ্ক কাশিতে ইপিকাকের সহিত, হিমাঙ্গ অবস্থায় কম্ফার, সিকেলি, টেরেকাম, ভিরেট্রামের সহিত, চলিতে অক্ষমতায় পিক্রিক এসিড ও সালফের সহিত, এবং প্রাতঃকালীন উদরাময়ে এলো ও সালফের সহিত তুলনীয়।
সালফারের পায়ের পাতায় জ্বালা এবং জিঙ্কের পদদ্বয়ের অস্থিরতা ও অকুশলতা, এই দুইটি লক্ষণই এক সঙ্গে মেডোরিনামে দেখা যায়।
উপচয়- রোগের বিষয় চিন্তা করিলে (হেলোনি, অক্সাল এসি), উত্তাপে, আচ্ছদিত হইলে, হাত-পা ছড়াইলে, ঝড়বজ্রে, সামান্য সঞ্চালনে, মিষ্টদ্রব্যে; সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (সিফিলিনামের বিপরীত)।
[শক্তি-২০০ ও তদুর্ধ্ব ]
কোন মন্তব্য নেই