এক্টিয়া রেসিমোসা (Actaea Recemosa; Cimicifuga Racemosa) [ এক্টিয়া - Cimic ]
এক্টিয়া রেসিমোসা (Actaea Recemosa) |
এক্টিয়া রেসিমোসা (Actaea Recemosa; Cimicifuga Racemosa) [ ব্লাক স্নেকরুট নামক গুল্ম ]
সুতিকোম্মাদ, মনে করে সে যেন পাগল হইয়া যাইতেছে (তুলনা কর - সিফিলি); আপনাকে আঘাত করিতে চেষ্টা করে।
স্নায়ুশূল অন্তর্হিত হইলে উম্মাদ লক্ষণ প্রকাশ পায়।
অনুভব করে যেন একখানি ভারি কৃষ্ণমেঘ তাহাকে ঢাকিয়া ফেলিয়াছে এবং তাহার মাথাকে এরূপভাবে আবৃত করিয়াছে যে সব কিছুই অন্ধকার ও বিশৃঙ্খল অনুভূত হইতেছে।
তাহার চেয়ারের নীচে হইতে একটি ইন্দুর দৌড়িয়া গেল এরূপ ভ্রান্ত অনুভূতি ( ল্যাক ক্যানি, ইথুজা)।
চক্ষুর পাতার স্নায়ুশূল, চক্ষুগোলকে কামড়ান অথবা তীব্র তীরবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা, উহা শঙ্খস্থান, মস্তকশীর্ষ, মস্তকের পশ্চাদ্দেশ চক্ষুকোটর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, সিড়ি দিয়া উপরে উঠিতে বৃদ্ধি।
জরায়ু অথবা ডিম্বকোষ পীড়া হইতে প্রতিক্ষিপ্ত হৃৎরোগ। হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া আকষ্মাৎ থামিয়া যায়, দমবন্ধ হওয়ার মত হয়। সামান্য সঞ্চালনে বুক ধড়ফড় করে ( ডিজি )।
ঋতুস্রাব; অনিয়মিত দূর্বলকর ( এলু, কক্কউল ), বিলম্বিত অথবা মানসিক উত্তেজনা, ঠান্ডা লাগা বা জ্বরহেতু অবরুদ্ধ। তৎসহ তান্ডব রোগ, হিষ্টিরিয়া অথবা উম্মাদ লক্ষণ। ঋতুস্রাবকালে মানসিক লক্ষণের বৃদ্ধি।
আক্ষেপ, হিষ্টিরিয়া অথবা অপস্মারজনিত, জরায়ুপীড়ার প্রতি ক্ষেপণহেতু, ঋতুকালে বৃদ্ধি, তান্ডব নর্তনরোগ,বামপার্শ্বে অধিক।
বাম স্তনের নিম্নাংশে অত্যন্ত বেদনা ( অষ্টি)।
ডিম্বোকোষ অথবা জরায়ুপীড়ার সহিত, দেহের বিভিন্ন অংশে সহানুভূতিক তীব্র, বর্ষাবিদ্ধবৎ বিদ্যুতাঘাতবৎ বেদনা, জরায়ুস্থানে বেদনা, উহা এক পার্শ্ব হইতে অন্য পার্শ্বে তীব্রবেগে ধাবিত হয়।
গর্ভকালে বিবমিষা, অনিদ্রা, মিথ্যা প্রসববেদনা, উদরে আড়াআড়ি ভাবে তীক্ষ্ন বেদনা, তৃতীয় মাসে গর্ভস্রাব ( স্যাবাইনা)।
প্রসববেদনার সময় প্রথম অবস্থায় কাঁপিতে থাকেন, স্নায়বিক উত্তেজনার আক্ষেপ উপস্থিত হয়, জরায়ুমুখ শক্ত, তীব্র, আক্ষেপিক, ক্লান্তিকর বেদনা, সামান্য গোলমালে বৃদ্ধি।
প্রসবান্তিক ভ্যাদাল ব্যাথা, কুঁচকি সন্ধিস্থানে অধিক।
যদি লক্ষণমেলে, তাহা হইলে গর্ভকালের শেষ মাসে প্রযুক্ত হইলে প্রসববেদনার স্থিতিকাল কমাইয়া দেয় ( কলোফাই, পালস)।
নৃত্য করা, ষ্কেটিং করা অথবা অন্য কোনরূপ পেশী সঞ্চালনের পর পেশীসমূহে অত্যন্ত টাটানি ব্যাথা।
গ্রীবাদেশ ও পৃষ্ঠের পেশীসমূহে বাতের বেদনা, আক্রান্ত অঙ্গ আড়ষ্ট, খঞ্জ ও সঙ্কুচিত বোধ হয়; সেলাই করা, টাইপ করা, পিয়ানো বাজানো প্রভৃতি কারণে মেরুদন্ড স্পর্শকাতর হয় ( এগারি, র্যানান বাল্ব)
বাতে পেশীসমূহের অভ্যন্তরাংশ আক্রান্ত হয়, বেদনা সূচীবিদ্ধবৎ, খালধরার ন্যায়।
বাতজনিত কষ্টরজঃ
উপচয় - ঋতুকালে, যত অধিক স্রাব হয়, যন্ত্রণাও ততই বাড়ে।
[শক্তি-১X, ৬, ২০০ ]
Thanks
উত্তরমুছুন